নয়াদিল্লি, 5 মার্চ: বিদেশে গিয়ে দেশের নিন্দে ! কেমব্রিজে রাহুল গান্ধির বক্তৃতা নিয়ে একের পর এক বিতর্ক চলছে দেশে ৷ এর আগে পেগাসাস ইস্যুতে মন্তব্য করে বিজেপির তোপের মুখে পড়েছিলেন কংগ্রেস নেতা ৷ এবার পুলওয়ামা হামলা নিয়ে রাহুলকে আক্রমণ করলেন বিজেপি আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য ৷ রবিবার বিজেপি নেতা কেমব্রিজে রাহুলের বক্তৃতার ভিডিয়োর একটি অংশ পোস্ট করে তাঁকে আক্রমণ করেন ৷ এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি ইটিভি ভারত ।
সেখানে রাহুলকে বলতে শোনা যাচ্ছে, "কাশ্মীর একটি সন্ত্রাসে প্রবণ রাজ্য ৷ যেখানে বহু বছর ধরে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটে থাকে ৷" এরপর উপস্থিত সকলকে একটি ছবি দেখিয়ে সাংসদ বলেন, "আপনারা আমায় দেখতে পাচ্ছেন, আমি একটি জায়গায় ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাচ্ছি ৷ সেখানে একটি গাড়িতে বোমা বিস্ফোরণে 40 জন সেনা জওয়ান মারা গিয়েছিলেন ৷" এখানে ভারত জোড়ো যাত্রায় নেতৃত্ব দেওয়া কংগ্রেস নেতা একবারও পুলওয়ামা শব্দটি উচ্চারণ করেননি ৷ এমনকী সেখানে বোমা বিস্ফোরণের জন্য যে পাকিস্তান দায়ী এমন কোনও কথা উল্লেখ করেননি ৷ তাঁর এই বক্তব্যকে কটাক্ষ করে মালব্য টুইটারে লেখেন, "পুলওয়ামায় যে পাকিস্তান জঙ্গি হামলা করেছিল, তা বলতে অস্বীকার করছেন রাহুল গান্ধি ৷" তিনি নেটিজেনদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন, "আপনারা দেখছেন, সমস্যাটা কোথায় ?"
আরও পড়ুন: বিদেশের মাটিতে ভারতকে অপমান করেছেন রাহুল, তোপ হিমন্তর
উল্লেখ্য, 2019 সালের 14 ফেব্রুয়ারি জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামায় 40 জন সেনা জওয়ানের মৃত্যু হয় ৷ সেদিন জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়ক দিয়ে 2 হাজার 500 জন সিআরপিএফ জওয়ানদের একটি বিশাল কনভয় যাচ্ছিল ৷ তাতে 78টি গাড়ি ছিল ৷ পুলওয়ামা জেলার লেথাপোরের কাছে 44 নং জাতীয় সড়কে সেনা বোঝাই একটি বাসের সঙ্গে একটি গাড়ির ধাক্কা লাগে ৷ তাতে বোমা ছিল ৷ সেই বোমা বিস্ফোরণে কেন্দ্রীয় বাহিনীর 40 জন নিরাপত্তারক্ষী প্রাণ হারান ৷ এর দায় স্বীকার করেছিল পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই মহম্মদ ৷ এই ঘটনার জন্য ভারত পাকিস্তান সরকারকে দায়ী করে ৷ পাকিস্তান এই ঘটনার তীব্র সমালোচনা করলেও জঙ্গি হামলার দায় নিতে অস্বীকার করে ৷ এতে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক আরও তিক্ত হয়ে ওঠে ৷
রাহুল গান্ধির বক্তৃতা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন ত্রিপুরা ও মেঘালয়ের রাজ্যপাল তথাগত রায়ও (Tathagata Roy Slammed Rahul Gandhi) ৷ বিদেশে গিয়ে দেশের সম্পর্কে সমালোচনামূলক মন্তব্যের জন্য তিনি কংগ্রেস সাংসদকে 'জড়বুদ্ধি' বলে আখ্যা দিয়েছেন ৷ সামাজিক মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির এই প্রাক্তন সভাপতি লেখেন, "নিতান্ত জড়বুদ্ধি না হলে বিদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে কেউ স্বদেশের নিন্দা করে না ৷ আর যেখানে চীনা সরকার শিনজিয়াং, তিব্বত ইত্যাদি অঞ্চলে পৈশাচিকভাবে গায়ের জোরে হান সংস্কৃতি চাপিয়ে দিচ্ছে তাকে 'সামাজিক সম্প্রীতির উদাহরণ' বলে কেউ প্রশংসাও করবে না ৷ কিন্তু রাহুল গান্ধী দুটোই করেছেন ৷"
আরও পড়ুন: 'আমার ফোনে পেগাসাস ছিল, ভারতে গণতন্ত্র বিপন্ন', কেমব্রিজে দাবি রাহুলের