হায়দরাবাদ, 13 অগস্ট : ক্রমশ খারাপ হচ্ছে আফগানিস্তানের পরিস্থিতি ৷ ধীরে ধীরে তালিবানিদের কবলে চলে যাচ্ছে গোটা দেশ ৷ বৃহস্পতিবার দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর কান্দাহার এবং তৃতীয় বৃহত্তম শহর হেরাত দখল করে নিয়েছে কট্টরপন্থী জঙ্গিরা ৷ সূত্রের খবর, তালিবানিদের পরবর্তী লক্ষ্য রাজধানী কাবুল ৷ অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ক্রমশ সেদিকেই এগোচ্ছে তারা ৷ আফগানিস্তানের মোট 34টি প্রাদেশিক রাজধানীর মধ্যে 12টিরই দখল নিয়েছে সন্ত্রাসবাদী এই সংগঠন ৷ ফলে সরকার পক্ষের অবস্থা ক্রমশ খারাপ হচ্ছে ৷
আরও পড়ুন :Afghanistan : হেরাট, গজনি দখল তালিবানের ; ক্ষমতা ভাগাভাগির প্রস্তাব আফগান সরকারের
স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবারের আগেই যে 10টি প্রাদেশিক রাজধানী তালিবানিরা দখল করেছিল, তার মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হল গজনি ৷ দেশের রাজধানী কাবুল থেকে যার দূরত্ব প্রায় 150 কিলোমিটার ৷ গজনি হাতছাড়া হওয়ার পর থেকেই কার্যত হাল ছাড়তে শুরু করে দেয় আফগান সরকার ৷ এমনকী, সংঘর্ষ এড়াতে কট্টরপন্থী এই ইসলাম জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগিরও প্রস্তাব দেওয়া হয় সরকারের তরফে !
এদিকে, এই অবস্থায় নিজের নাগরিকদের নিয়ে চিন্তা বেড়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৷ আফগানিস্তান থেকে মার্কিন নাগরিকদের নিরাপদে বের করে আনার জন্য সেনাবাহিনীর তিন হাজার সদস্যকে সেদেশে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা ৷ একই কারণে ব্রিটেনের পক্ষ থেকেও আফগানিস্তানে প্রায় 600 সেনা জওয়ান ও আধিকারিককে পাঠানো হচ্ছে ৷ তাঁরা আফগানিস্তানে আটকে থাকা ব্রিটিশ নাগরিকদের উদ্ধার করে নিয়ে আসবেন ৷ এই ব্রিটিশ ও মার্কিন নাগরিকদের অধিকাংশই কাবুলের দূতাবাসগুলিতে কর্মরত রয়েছেন ৷
আরও পড়ুন :Taliban capture : নিমরোজও দখল তালিবানদের, দেশ ছেড়ে পালানোর হিড়িক আফগানবাসীর
অন্যদিকে, ফের একবার তালিবানিদের বাড়বাড়ন্তে ঘুম ছুটেছে সাধারণ আফগান নাগরিকদের ৷ প্রাণ বাঁচাতে বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে শুরু করেছেন তাঁরা ৷ তাঁদের আশঙ্কা, আফগানিস্তানে ফের একবার তালিবানি শাসন জারি হওয়াটা কার্যত সময়ের অপেক্ষা ৷ আর একবার বর্তমান সরকার পড়ে গেলেই ফের শুরু হয়ে যাবে জুলুমবাজি ৷ তালিবানি শাসনে নারীর অধিকার বলে কিছু নেই ৷ নাগরিক অধিকারও তারা মানে না ৷ জঙ্গিদের নির্দেশ না মানলেই কপালে জুটবে মৃত্যু ৷ ফের ঘটবে প্রকাশ্যে মুণ্ডচ্ছেদ, পাথর ছুড়ে খুনের মতো ঘটনা ৷
আফগান নাগরিকদের এই আশঙ্কা যে অমূলক নয়, তা মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্ট থেকেই স্পষ্ট ৷ তাতে বলা হয়েছে, ফের একবার গোটা আফগানিস্তানের দখল নিতে পারে তালিবানিরা ৷ আর তাতেই প্রমাদ গুনছে সারা বিশ্ব ৷