কাবুল, 29 অগস্ট : আগামী 4 মাসের মধ্যে দেশ ছাড়তে পারে প্রায় 5 লক্ষ আফগানবাসী ৷ জানিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ (United Nations High Commissioner for Refugees, UNHCR) ৷ শনিবার এই তথ্য দিয়েছে তারা ৷
রাষ্ট্রসংঘের শরণার্থী কমিশন অনুযায়ী, দেশের একটি সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট জানাচ্ছে এতদিন পর্যন্ত বিপুল সংখ্যক আফগানিস্তানবাসী দেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছে, এমনটা হয়নি ৷ তবে এবার এই অস্থির পরিস্থিতিতে অনেকে অন্য দেশের উদ্দেশে পাড়ি দেবে ৷
সংস্থার ডেপুটি হাইকমিশনার (Deputy High Commissioner) কেলি টি ক্লিমেন্টস (Kelly T Clements) বলেন, "বহু বহু আফগান দেশ ছাড়ছে এখনও পর্যন্ত এমনটা হয়নি ৷ কিন্তু এই মুহূর্তে আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি এত দ্রুত বদলে যাচ্ছে, যা কেউ আশা করেনি ৷" ইউএনএইচসিআর প্রতিবেশী দেশগুলিকে আফগানদের জন্য তাদের সীমান্ত খুলে রাখার কথা জানিয়েছে ৷
আফগানিস্তানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে প্রকাশিত তথ্য জানাচ্ছে, ইতিমধ্যে, আফগানিস্তানে খাদ্যসামগ্রী সরবরাহের জন্য ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (World Food Programme, WFP) রাষ্ট্রসংঘকে 1 কোটি 20 লক্ষ মার্কিন ডলার অর্থ দেওয়ার কথা জানিয়েছে ৷
আরও পড়ুন :Joe Biden : আগামী 24-36 ঘণ্টায় ফের জঙ্গি হামলার সম্ভাবনা কাবুল বিমানবন্দরে, সতর্ক করলেন বাইডেন
স্থানীয়দের মতে, রাজনৈতিক অস্থিরতা, বেকারত্ব এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত কারণে মানুষ বাধ্য হয়ে দেশ ছাড়তে মরিয়া হয়ে উঠেছে ৷ কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে অপেক্ষারত হাজারে হাজারে মানুষের মধ্যে একজন হাবিবুল্লা ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা ৷ তিনি বলেন, "আমি বিদেশিদের সঙ্গে 4 বছর ধরে কাজ করেছি ৷ কিন্তু এখন আমার কাছে কোনও চাকরি নেই ৷ আমি কানাঘুষো শুনেছি যে তালিবান নাকি প্রত্যেক আফগানের বাড়িতে গিয়ে খোঁজ করছে কারা বিদেশিদের সঙ্গে কাজ করেছে ৷ আর তাদের মেরে ফেলার চেষ্টা করছে ৷ আমাকে দেশ ছাড়তেই হবে ৷"
"চাকরি নেই আর প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হচ্ছে ৷ নিজেদের জীবন বাঁচাতে আমাদের দেশ ছাড়তেই হবে", বললেন হাবিবুল্লার ছেলে এজাতুল্লা ৷
তালিবানে শাসনে বহু আফগান মহিলার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত ৷ তারা পড়াশোনা করেছে, প্রচুর পরিশ্রম করেছে ৷ কিন্তু এবার তাদের সঙ্গে কী হবে, তা জানে না আফগান মেয়েরা ৷ কাবুলের বাসিন্দা রাহিলা বললেন, "আমরা চ্যালেঞ্জ নিয়ে আফগানিস্তানে পড়াশোনা করেছি ৷ এখন আমরা জানি না আমাদের সঙ্গে কী হতে পারে ৷ দেশের মেয়েদের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছি আমি ৷"