বার্সেলোনা, 2 মে : স্পেনে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে পরিস্থিতি । বিগত সাত সপ্তাহের মধ্যে এই প্রথমবার স্পেনের রাস্তায় মনুষ্যের দেখা মিলল । মানুষ রাস্তায় বেরোচ্ছে, মাঠে ব্যায়াম করছে । একই ছবি জার্মানিতেও । সেখানেও ছোটো ছোটো ছেলেমেয়েদের দেখা গেল খেলার মাঠে । পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসার পর থেকেই লকডাউন আংশিকভাবে শিথিল হয়েছে পশ্চিম ইউরোপের একাধিক দেশে ।
তবে রাশিয়া বা পাকিস্তানের মতো দেশগুলিতে কোরোনা পরিস্থিতি স্পেনের থেকে অনেকটাই আলাদা । রাশিয়ার একদিনে সর্বোচ্চ সংক্রমণের খবর সামনে এসেছে । পাকিস্তানেও একদিনে সর্বোচ্চ সংক্রমণ ঘটেছে সর্বশেষ রিপোর্টে, যা জানান দিচ্ছে রাশিয়া ও পাকিস্তানের মতো দেশগুলি থেকে কোরোনা বিদায় হতে এখনও বেশ কিছুটা সময় লাগবে ।
এই পরিস্থিতিতে আতঙ্ক কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না মস্কোর । সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী রাশিয়ায় একদিনে 9,633 জনের শরীরে নতুন করে সংক্রমণের খবর সামনে এসেছে । শুক্রবারের তুলনায় 20 শতাংশ বেড়েছে নতুন সংক্রমণের হার ।
রাশিয়ায় এখনও পর্যন্ত 1 লাখ 24 হাজারেরও বেশি মানুষের শরীরে মিলেছে ভাইরাসের হদিস । সুস্থ হয়েছে 15 হাজার জন । এখনও পর্যন্ত মারা গেছে 1,222 জন । তবে এই প্রকৃত সংখ্যাটা আরও বেশি বলেই অনুমান করছেন পর্যবেক্ষকরা । কারণ, সেখানে ঠিকভাবে সোয়াবের নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে না বলে একাধিক মহল থেকে অভিযোগ করেছেন । পর্যবেক্ষকদের অনুমান , রাশিয়ায় যে সংখ্যক রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে তাঁর 70 থেকে 80 শতাংশই সত্য ।
এদিকে কিছুদিন আগে পর্যন্তও সবথেকে খারাপ পরিস্থিতি যে দেশগুলিতে ছিল সেগুলির মধ্যে অন্যতম ছিল স্পেন । মোট সংক্রমিতের সংখ্যা দু'লাখেরও বেশি । মারা গেছে 24 হাজার 500 জন । সেখান থেকে এখন অনেকটাই স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে এসেছে স্পেন । 14 মার্চ থেকে সেখানে লকডাউন চলছিল । প্রায় দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা এই লকডাউনে স্পেন আবারও প্রমাণ করে দিল, কোরোনাকে রুখতে লকডাউনের থেকে বড় হাতিয়ার আর কিছু হতে পারে না । আগামী দিনগুলিতে অন্যান্য দেশগুলিকেও স্পেনের কৌশলকেই অনুকরণ করা উচিত হবে বলে অনুমান করছেন পর্যবেক্ষকরা ।