কিয়েভ, 28 ফেব্রুয়ারি: ইউক্রেনে রাশিয়ার সেনার আক্রমণ পঞ্চম দিনে পড়ল সোমবার ৷ রবিবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Russian president Vladimir Putin) ঘুরিয়ে পরমাণু হামলার কথা বলেছেন ইউক্রেন ইস্যুতে ৷ বলেছেন, "পশ্চিমের দেশগুলি শুধু যে আমাদের বিরুদ্ধে আর্থিক নিষেধাজ্ঞা জারি করছে তাই নয়, ন্যাটো গোষ্ঠীভুক্ত দেশের নেতারা আমাদের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক বয়ানও দিচ্ছেন ৷ এই পরিস্থিতিতে আমি পরমাণু অস্ত্র প্রতিরোধী দলকে (ডেটারেন্ট ফোর্সেস) প্রস্তুত থাকতে বলেছি ৷' আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলি পুতিনের এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছে ৷ তাদের মতে, ঘুরিয়ে পরমাণু হামলার কথা বলছেন রুশ প্রেসিডেন্ট, যা পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ করে তুলতে পারে ৷
এরই মাঝে রবিবার গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউরোপের 27টি দেশকে নিয়ে গঠিত ইউরোপিয় ইউনিয়ন (EU) ৷ ইউনিয়নের প্রধান উর্সলা ভন দের লেয়েন জানিয়েছেন, ইউক্রেনের জন্য অস্ত্র কিনতে ও তা সরবরাহ করতে সরাসরি আর্থিক সাহায্য করবে ইইউ ৷ ইউরোপিয় ইউনিয়নের ইতিহাসে এই প্রথম এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হল ৷ এর জন্য 450 মিলিয়ন ইউরো বরাদ্দ করা হয়েছে বলে খবর ৷ ইউক্রেনকে যুদ্ধ বিমানও দিচ্ছে ইইউ ৷
রাশিয়ার প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে ইতিমধ্যেই রাজি হয়েছে ইউক্রেন ৷ বেলারুশ সীমান্তের প্রিপ্যাট নদীর পাশে শান্তি আলোচনা করতে ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছেন দুই দেশের প্রতিনিধিরা ৷ তবে ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি (Ukraine President Volodymyr Zelenskyy) জানিয়েছেন, তাঁর মনে হয় না এই বৈঠক থেকে কোনও সমাধান সূত্র বেরবে ৷ কিন্তু ইউক্রেনবাসীর যাতে মনে না হয় যে, প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি যুদ্ধ থামানোর কোনও চেষ্টাই করেননি তাই তিনি এতে সায় দিয়েছেন ৷