দান্তের ডিভাইন কমিডির কথাই মনে পড়ে পর্যটকদের ৷ মহাকবি বর্ণিত সেই নরকাগ্নিই যেন ! তবে এ একেবারে বাস্তবের মহাকাব্য ! যা আজ পৃথিবীর "নরকের দ্বার" নামে পরিচিত ৷ কেন ?
কারণ গত 40 বছর ধরে জ্বলছে অনন্ত আগুন !
দান্তের ডিভাইন কমিডির কথাই মনে পড়ে পর্যটকদের ৷ মহাকবি বর্ণিত সেই নরকাগ্নিই যেন ! তবে এ একেবারে বাস্তবের মহাকাব্য ! যা আজ পৃথিবীর "নরকের দ্বার" নামে পরিচিত ৷ কেন ?
কারণ গত 40 বছর ধরে জ্বলছে অনন্ত আগুন !
দেশ তুর্কমেনিস্তান ৷ সেখানকার কারাকুম মরুভূমির দেরওয়াজে নামের এক গ্রামের কাছেই "নরকের দ্বার" ৷ 230 ফুট ব্যস, 65 ফুট গভীর আগুনের মহাগর্তকে "শয়তানের সুইমিং পুল" নামেও ডাকা হয় ৷ একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানাচ্ছে, সেই 1971 সাল থেকে জ্বলছে গনগনে আগুন ৷ কিন্তু এত আগুন কীসের ?
আসলে 1971 সালে তুর্কমেনিস্তান সোভিয়েত যুক্তরাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত ছিল ৷ সেই সময় কয়েকজন সোভিয়েত ভূতাত্বিক খনিজ তেলের সন্ধানে কারাকুম মরু অঞ্চলে অভিযান চালান ৷ তাঁরা এই অঞ্চলে তাঁদের কাজে ড্রিলিং শুরু করেন ৷ এবং কিছুদিনের মধ্যেই দলটি বুঝতে পারে, জায়গাটা হল ভূগর্ভস্থ গ্যাসের এক বিরাট ভাণ্ডার ৷ পরীক্ষা করে দেখতে বেশ কিছু জায়াগায় গর্ত খুঁড়ে গ্যাসকে মুক্ত করেন বিজ্ঞানীরা ৷ কিন্তু এভাবে যে পুরো গ্যাস বের করা যাবে না তা আন্দাজ করে বিজ্ঞানীদের দল ৷ অবশেষে ভূপৃষ্টের একটি বড় অংশ উন্মুক্ত করেন তাঁরা ৷ এর ফলেই উন্মুক্ত হয়ে পড়ে ভূগর্ভের গ্যাসে জ্বলতে থাকা আগুনের বিরাট এক হাঁ-মুখ ৷ তবে, বিজ্ঞানীরা মনে করেছিলেন, ধীরে ধীরে এই আগুন নিভে যাবে ৷ কিন্তু, এর মধ্যে চার দশক অতিক্রান্ত, এবং জ্বলেই চলেছে রাবণ আগুন !
বিজ্ঞান আর রহস্যের "ডোর টু হেল" কিংবা "শয়তানের সুইমিং পুল" আজ তুর্কমেনিস্তানের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র ৷