লন্ডন, 9 নভেম্বর : কোভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দিল বরিস জনসন সরকার ৷ 22 নভেম্বর থেকে ভারতে উৎপাদিত এই কোভিড-19 ভ্যাকসিন নেওয়া যাত্রীদের জন্য ইংল্যান্ড যাত্রা আরও সহজ হল ৷ এতদিন ভারত বায়োটেক নির্মিত এই ভ্যাকসিনের দু'টি ডোজ নিয়ে ইংল্যান্ডে গেলেও আইসোলেশনে থাকা বাধ্যতামূলক ছিল ৷ এবার সেই নির্দেশ তুলে নিল ব্রিটিশ সরকার ৷
3 নভেম্বর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (World Health Organisation) কোভ্যাকসিনকে (Covaxin) জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারযোগ্য বা ইইউএল ( Emergency Use Listing- EUL) তালিকার অন্তর্ভুক্ত করে ৷ ভারতে এই কোভিড-19 ভ্যাকসিন ব্যবহারের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ৷ গত মাসে ভারতে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা (Oxford-AstraZeneca) কোভিড-19 ভ্যাকসিন কোভিশিল্ডকে (Covishield) ছাড়পত্র দিয়েছে ব্রিটিশ সরকার ৷
আরও পড়ুন : Covaxin : বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার ছাড়পত্র পেল কোভ্যাকসিন
সোমবার একটি টুইটে কোভ্যাকসিনকে অনুমোদনের বিষয়টি জানান ভারতের ব্রিটিশ হাইকমিশনার অ্যালেক্স এলিস (Alex Ellis) ৷ টুইটে তিনি লেখেন, "ব্রিটেনে আসতে চাওয়া ভারতীয় যাত্রীদের জন্য সুখবর ৷ হু-র স্বীকৃত জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহার যোগ্য (EUL) তালিকাভুক্ত কোভিড-19 ভ্যাকসিন কোভ্যাকসিনের দু'টি ডোজ নেওয়া যাত্রীদের 22 নভেম্বর থেকে আর আইসোলেশনে থাকতে হবে না ৷ কোভিশিল্ডের দু'টি ডোজ নেওয়া যাত্রীদের সঙ্গে সঙ্গে এবার কোভ্যাকসিনের সম্পূর্ণ ডোজ নেওয়া যাত্রীদের এই ছাড়পত্র দেওয়া হল ৷" এই নির্দেশিকা কার্যকর হবে 22 নভেম্বর ভোর 4টে থেকে ৷
কোভ্যাকসিন ছাড়া চিনের সাইনোভ্যাক (Sinovac) এবং সাইনোফার্ম (Sinopharm) হু-র ইইউএল তালিকাভুক্ত হয়েছে ৷ ব্রিটিশ সরকারের পক্ষ থেকে এই দু'টি ভ্যাকসিনকেও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে ৷ জানা গিয়েছে, আরব আমিরশাহী (United Arab Emirates) এবং মালয়েশিয়া থেকে আসা যাত্রীদের সুবিধার্থে, যাঁরা চিনের এই দু'টি ভ্যাকসিনের সম্পূর্ণ ডোজ নিয়েছেন, তাঁদের ক্ষেত্রেও একই ছাড় দেবে ব্রিটিশ সরকার ৷ ভ্যাকসিনের নির্ধারিত ডোজ নেওয়া থাকলে আর বিমানে ওঠার আগে কোনও পরীক্ষা হবে না ৷ পাশাপাশি পৌঁছনোর পর অষ্টম দিনে পরীক্ষা বা পৌঁছনোর পরে আইসোলেশনে থাকতে হবে না ৷
এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন বরিস জনসন সরকারের পরিবহণ সচিব (Transport Secretary) গ্র্যান্ট সাপস (Grant Shapps) ৷ তিনি টুইটে লিখেছেন, "আমরা প্যানডেমিক কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছি এবং আন্তর্জাতিক ভ্যাকসিনগুলিকে আরও বেশি স্বীকৃতি দিচ্ছি ৷ আমাদের আন্তর্জাতিক যাত্রা ফের চালু হয়েছে ৷ এই ঘোষণা তার পরবর্তী পদক্ষেপকে চিহ্নিত করল ৷"
তবে প্রয়োজনে যে কোনও দেশকে ফের লাল তালিকাভুক্ত (red list) করতে কোনও ভাবে ইতস্তত করবে না ব্রিটেন, জানিয়েছেন স্বাস্থ্য সচিব সাজিদ জাভিদ (Sajid Javid) ৷ দেশের সীমানা রক্ষার স্বার্থে কোয়ারানটাইন ব্যবস্থা (quarantine system) এখনও গুরুত্বপূর্ণ, জানিয়েছেন তিনি ৷ ইংল্যান্ডে আসা 18 বছরের কম বয়সী যাত্রীদের ক্ষেত্রেও ব্রিটিশ সরকার যাত্রার নিয়মকানুন কিছুটা শিথিল করেছে ৷ সীমান্তে পৌঁছনোর পর তাদের ভ্যাকসিনেশন সম্পূর্ণ হয়েছে বলেই ধরা হবে ৷ দেশে আসার পর তাদের একটি পরীক্ষা করতে হবে ৷ পরীক্ষার ফলাফল পজিটিভ হলে তখন বিনামূল্যে পিসিআর (PCR test) পরীক্ষা হবে ৷