স্টকহোম (সুইডেন), 7 অক্টোবর :সাহিত্যে নোবেল (Nobel Prize) পেলেন তানজানিয়ার লেখক আবদুলরজক গুরনা (Abdulrazak Gurnah) ৷ বৃহস্পতিবার তাঁর নাম পুরস্কারপ্রাপক হিসাবে ঘোষণা করা হয় ৷
আরও পড়ুন :Nobel Prize in chemistry : অণু তৈরির নতুন পদ্ধতি আবিষ্কারের স্বীকৃতিতে রসায়নে নোবেল দুই বিজ্ঞানীকে
কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, উপসাগরীয় অঞ্চলে ঔপনিবেশিকতার প্রভাব কেমন ছিল, তা বারবার উঠে এসেছে গুরনার লেখায় ৷ আবেগঘন ভাষায় একেবারে নিরপেক্ষভাবে এই বিষয়ে অসংখ্য লেখা লিখেছেন তিনি ৷ অন্য দেশের উপর কর্তৃত্ব কায়েমের চেষ্টা কীভাবে বিভিন্ন মহাদেশ ও সেখানকার সংস্কৃতির উপর প্রভাব ফেলে, সেকথাও তাঁর লেখায় তুলে ধরেছেন গুরনা ৷ তুলে ধরেছেন শিকড় হারানো উদ্বাস্তুদের যন্ত্রণা ৷ তাঁর এই অবদানের জন্যই এবছর সাহিত্য বিভাগে তাঁকে নোবেল দেওয়া হচ্ছে ৷
এখনও পর্যন্ত গুরনার লেখা 10 টি উপন্যাস এবং অসংখ্য ছোট গল্প ছাপার অক্ষরে প্রকাশিত হয়েছে ৷ উদ্বাস্তু সমস্য়া নিয়ে আগাগোড়া কাজ করে গিয়েছেন তিনি ৷ 21 বছর বয়স থেকে লেখা শুরু করেন গুরনা ৷ ইংরেজির পাশাপাশি মাতৃভাষা সোয়াহিলিতেও লেখালিখি করেন তানজানিয়ার এই লেখক ৷ বস্তুত, ইংরেজি ভাষাকে হাতিয়ার করেই নিজের লেখার মধ্য দিয়ে উদ্বাস্তু সমস্য়ার কঠিন বাস্তবকে সর্বসমক্ষে তুলে ধরেছেন তিনি ৷ হয়ত নিজে উদ্বাস্তু ছিলেন বলেই গৃহহীন, দেশহীন মানুষের যন্ত্রণা তাঁকে বরাবরই ব্যথা দিয়েছে ৷ আর সেই অনুভবই প্রকাশ পেয়েছে তাঁর সৃষ্টি করা সাহিত্যে ৷
আরও পড়ুন :Nobel for Physics : কমপ্লেক্স ফিজিক্যাল সিস্টেম বুঝিয়ে পদার্থবিদ্যায় নোবেল তিন বিজ্ঞানীর
1948 সালে জানজিবার দ্বীপে জন্ম হয় তাঁর ৷ পরে অবশ্য দেশ ছাড়তে হয় তাঁকে ৷ ছ’য়ের দশকে উদ্বাস্তু হিসাবেই ইংল্যান্ডে পৌঁছন তিনি ৷ পড়াশোনার পাট শেষ করার পর অধ্যাপক হিসাবে কর্মজীবন শুরু হয় ৷ তার পাশাপাশি চলতে থাকে লেখালিখি ৷ সদ্য অধ্যাপনায় অবসর নিয়েছেন গুরনা ৷ তার আগে পর্যন্ত ক্য়ান্টাবেরির কেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি এবং ঔনিবেশিক পরবর্তী সাহিত্য নিয়ে পড়ুয়াদের পড়াতেন আবদুলরজক গুরনা ৷