ইসলামাবাদ, 13 সেপ্টেম্বর : আটের দশকে সাবেক সোভিয়েত বিরুদ্ধে জেহাদের জন্য মুজাহিদিনদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে পাকিস্তান ৷ তাতে প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করেছিল অ্যামেরিকা ৷ আজ একথা স্বীকার করলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ৷
দীর্ঘদিন অ্যামেরিকান সেনা মোতায়েন রয়েছে আফগানিস্তানে ৷ তালিবানদের সঙ্গে শান্তি প্রক্রিয়া বাস্তবায়িত করতে ধীরে ধীরে সেনা প্রত্যাহারের পথে হাঁটতে থাকে অ্যামেরিকা ৷ কূটনৈতিক মহলের বক্তব্য, আফগানিস্তানে তালিবানের সঙ্গে শান্তি প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যেতে পাকিস্তানকে পাশে রাখতে চেয়েছিল হোয়াইট হাউজ় ৷ বিনিময়ে ইসলামাবাদের দাবি ছিল, কাশ্মীর সমস্যার সমাধানে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনকে তাদের সঙ্গে থাকতে হবে ৷ যদিও 5 সেপ্টেম্বর কাবুলে অ্যামেরিকার দূতাবাসের সামনে হামলার পর বেশ কিছুটা ধাক্কা সেই শান্তি প্রক্রিয়া ৷ সেই ঘটনার দু'দিন পরই অ্যামেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, তালিবানদের সঙ্গে গোপন বৈঠক বাতিল করেছেন তিনি ৷ টুইটে তিনি লেখেন, "শান্তি প্রক্রিয়ার এই গুরুত্বপূর্ণ সময় ওরা (তালিবান) যদি সংঘর্ষবিরতি চুক্তিকে সমর্থন না করে, আর 12 জন নির্দোষ মানুষকে খুন করে, তাহলে কোনও অর্থপূর্ণ চুক্তি নিয়ে তাদের আলোচনা করার সম্ভবত কোনও ইচ্ছা নেই ৷ " সোমবার একধাপ এগিয়ে অ্যামেরিকান প্রেসিডেন্ট দাবি করেন, তালিবানদের নিকেশ করতে অভিযানের সংখ্যা বাড়িয়েছে সেনা ৷