কাঠমাণ্ডু (নেপাল), 13 জুলাই :পঞ্চমবারের জন্য নেপালের প্রধানমন্ত্রী হলেন নেপালি কংগ্রেসের সভাপতি শের বাহাদুর দেউবা (Nepali Congress President Sher Bahadur Deuba) ৷ মঙ্গলবার ফের একবার এই পদে আসীন হন তিনি ৷ সংবিধানের 76 (5) নম্বর ধারা অনুসারে এদিন তাঁকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগ করেন প্রেসিডেন্ট বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারী (President Bidya Devi Bhandari) ৷ হিসাব বলছে, 74 বছর বয়সে পঞ্চমবারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে ফিরলেন শের বাহাদুর ৷ কে পি শর্মা ওলির (K P Sharma Oli) জায়গায় তাঁর নিয়োগ কার্যত আগেই নিশ্চিত করে দিয়েছিল নেপালের সুপ্রিম কোর্ট ৷ সোমবারই শের বাহাদুরকে ওলির স্থলাভিসিক্ত করার নির্দেশ দিয়েছিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত ৷
আরও পড়ুন :নেপালের সংসদ ভেঙে দিলেন প্রেসিডেন্ট ভাণ্ডারী, পরবর্তী নির্বাচন নভেম্বরে
সূত্রের খবর, আদালতের এই নির্দেশের পরই পদক্ষেপ করে প্রেসিডেন্টের দফতর ৷ সেখান থেকেই শের বাহাদুরের নিয়োগের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয় ৷ তবে প্রধানমন্ত্রী পদে কবে শপথ নেবেন শের বাহাদুর, সেটা এখনও জানা যায়নি ৷ উল্লেখ্য, এর আগে 1995 সালের সেপ্টেম্বর থেকে 1997 সালের মার্চ, 2001 সালের জুলাই থেকে 2002 সালের অক্টোবর, 2004 সালের জুন থেকে 2005 সালের ফেব্রুয়ারি এবং 2017 সালের জুন থেকে 2018 সালের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত নেপালের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন তিনি ৷
আরও পড়ুন :নেপালের সংসদে 10 মে আস্থা ভোট
নেপালের সংবিধানের নিয়ম অনুসারে, শপথ নেওয়ার 30 দিনের মধ্যে পার্লামেন্ট থেকে আস্থাভোটে জিতে আসতে হবে নয়া প্রধানমন্ত্রীকে ৷ তবেই ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবেন শের বাহাদুর ৷ প্রসঙ্গত, নেপালের সরকার ও প্রশাসন নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই টালমাটাল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল ৷ গত 21 মে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ওলি পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধন্ত নেন ৷ সোমবার তাঁর সেই সিদ্ধান্ত নামঞ্জুর করে দেয় শীর্য আদালত ৷ একইসঙ্গে, পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শের বাহাদুরকে নিয়োগেরও নির্দেশ দেয় সংশ্লিষ্ট পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ ৷ যার নেতৃত্বে ছিলেন প্রধান বিচারপতি চোলেন্দ্র শামশের রানা ৷ বেঞ্চের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য ওলির দাবি অসাংবিধানিক ৷