LAC থেকে দক্ষিণ চিন সাগরে চিনা আগ্রাসনের ঘটনায় বিশ্বব্যাপী উদ্বেগ বাড়ছে । অন্যদিকে দেশের স্বার্থের পরিপন্থী কার্যকলাপ রুখে দিতে এবং প্রয়োজন পড়লে বিশ্বস্ত সেনা-সমর ব্যবহার করে প্রতিক্রিয়া দিতে অস্ট্রেলিয়া নিজেদের "স্ট্র্যাটেজিক ডিফেন্স ফ্রেমওয়ার্ক ২০১৬"-র সংস্কার করেছে । 2020 ডিফেন্স স্ট্র্যাটেজিক আপডেট উন্মোচন করে প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন আজ একটি 270 বিলিয়ন অস্ট্রেলীয় ডলার অর্থমূল্যের 10 বছরব্যাপী প্রতিরক্ষা কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন ৷ যার মধে্য প্রথমবার অন্তর্ভুক্ত থাকছে ক্যানবেরার জন্য স্থল, সমুদ্র এবং বায়ুপথে দূরবর্তী পাল্লা দেওয়া হাইপারসনিক স্ট্রাইক মিসাইল । এই নতুন ডিফেন্স আপডেট-এর কেন্দ্রস্থলে রয়েছে সেই নিরীক্ষণ যার ভিত্তি হল ইন্দো-প্যাসিফিক এলাকাজুড়ে ঘনীভূত হওয়া অঞ্চল দখলের অধিকারজনিত উদ্বেগ ।
এই বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেছেন, "এই অঞ্চল শুধুমাত্র আমাদের ভবিষ্যত গড়বে না বরং বর্তমানে বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতার এই সময়ের প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠবে । এই সংস্কার তারই ভিত্তি । ইন্দো-প্যাসিফিক এলাকায় অঞ্চল দখলের অধিকার ঘিরে উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছে ৷ যা আমরা সম্প্রতি ভারত এবং চিনের মধে্য সীমান্ত-বিবাদের ঘটনায়, দক্ষিণ চিন সাগর এলাকা এবং পূর্ব চিন সাগর এলাকায় দেখেছি । দিন দিন ভুল পদক্ষেপ এবং বিবাদের সম্ভাবনাও বাড়ছে ।" সতর্কতার সুরে তিনি আরও বলেছেন যে, "নতুন নতুন প্রযুক্তির সুবাদে গুজব ছড়িয়ে পড়া এবং বিদেশি শক্তির হস্তক্ষেপের প্রবণতা সক্রিয় হয়ে উঠেছে । আর হ্যাঁ, সন্ত্রাসবাদ কিন্তু এখনও বিদায় নেয়নি আর তার বদ অভিসন্ধিগুলিও এখনও জিইয়ে রয়েছে । এগুলি সবই অগ্রগতির পথে কঠিন বাধা । দেশের সার্বভৌমত্ব চাপে রয়েছে । ফলে নিয়মনীতি, শৃঙ্খলা আর স্থিতাবস্থারও একই হাল হয়েছে ।"
অ্যামেরিকা এবং চিনের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারের লড়াইয়ের চেষ্টার ফলে সম্পর্কে যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে তার দিকে আঙুল তুলে মরিসন এটি বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তুলে ধরেছেন দু'পক্ষের এই কৌশলগত পরিবেশে যতবার তাৎপর্যপূর্ণ বদল ঘটবে ততবার অন্যান্য দেশ কেবল তার দর্শক হয়েই থেকে যাবে তা উচিত নয় । তাঁর কথায়, "মুক্ত বাণিজ্যের পথে আমাদের অঞ্চল থাকবে কি না কিংবা বিনিয়োগ এবং সহযোগিতা, যার ভিত্তি হল স্থিতাবস্থা এবং অগ্রগতি, মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক যা আমাদের গোটা অঞ্চলটাকে এক সুতোয় বেঁধে রাখে–তা আগামীতেও হবে কি না তা ঠিক করার জন্য শুধুমাত্র চিন বা অ্যামেরিকা সিদ্ধান্ত নেবে না । জাপান, ভারত, কোরিয়া প্রজাতন্ত্র, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য সব দেশ, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনাম এবং প্যাসিফিক সকলেরই এ নিয়ে বক্তব্য আছে ৷ নিজ নিজ ভূমিকা পালন করার আছে, তার জন্য পথ বেছে নেওয়ার আছে এবং আর এই তালিকায় অস্ট্রেলিয়াও অতি অবশ্যই আছে ।"