দিল্লি, 27 জানুয়ারি: ভারত 59টি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করে রেখেছে যা ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গ্যানাইজ়েশনের নিয়ম বহির্ভূত। এ কথা বলল বেজিং। তাদের দাবি, দিল্লির এই সিদ্ধান্তের ফলে চিনের কম্পানিগুলির উপর আঘাত আসবে।
গত বছর ভারত ও চিনের মধ্যে যখন সীমান্ত সমস্যা নিয়ে সম্পর্ক তিক্ত হয়, তখনই চিনা অ্যাপগুলি নিষিদ্ধ করার কথা ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। চলতি মাসে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, টিকটক ও অন্য অ্যাপগুলিকে নিষিদ্ধই রাখা হবে।
তারই প্রেক্ষিতে চিনা দূতাবাসের মুখপাত্র জি রং বিবৃতি দিয়ে জানান, ''অবিলম্বে বৈষম্যমূলক ব্যবস্থার সংশোধনের জন্য এবং দু'দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও ক্ষতিগ্রস্ত না করার জন্য আমরা ভারতের কাছে আবেদন জানাচ্ছি।''
জেএনইউ-এর চাইনিজ় স্টাডিজ়ের অধ্যাপক শ্রীকান্ত কোন্ডাপাল্লি ইটিভি ভারতকে জানিয়েছেন, ''যদি চিন ভারতের সঙ্গে চুক্তি মেনে না চলে, কীভাবে ভারত চুক্তি মেনে চলবে? পাশাপাশি বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ডব্লিউটিও-র জাতীয় সুরক্ষা বিষয়ক ধারাও রয়েছে। চিন জাতীয় সুরক্ষার কারণ দেখিয়ে গুগল, ইউটিউব, ফেসবুক, টুইটার ও অন্য সাইটকে নিষিদ্ধ করেছে। কীভাবে ওরা ভারতকে অভিযুক্ত করে?''
আরও পড়ুন: ভারতে ব্যবসা গোটাচ্ছে টিকটক, কর্মহীন দুই হাজারের বেশি কর্মী
এদিকে ভারতে ব্যবসাই গুটিয়ে নিচ্ছে বলে জানিয়েছে টিকটক । চিনা সোশাল মিডিয়া কম্পানি তথা টিকটক ও হ্যালো অ্য়াপসের মালিক বাইটডান্স জানিয়েছে, তাদের পরিষেবায় নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকায় ভারতের ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা । টিকটকের বিশ্বব্যাপী অন্তর্বর্তী প্রধান ভানেসা পাপ্পাস ও গ্লোবাল বিজ়নেস সলিউশনসের সভাপতি ব্লেক চান্দলি যৌথভাবে তাঁদের কর্মীদের ই-মেলে জানিয়েছেন যে, তাঁরা তাঁদের দল ছোটো করছেন এবং ভারতের সব কর্মীর উপর সেই সিদ্ধান্তের প্রভাব পড়বে। ভারতে তাঁরা আর কখনও ফিরে আসবেন কি না, সে ব্যাপারে অনিশ্চয়তা রয়েছে বলে জানালেও তাঁরা ফেরার আশা ছেড়ে দিচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন।