ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির 28-29 অক্টোবর, 2019 সালে সৌদি আরব সফর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, বিশেষ করে শক্তি এবং বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ । সৌদিতে বসবাস করেন বিপুল পরিমাণ ভারতীয়, সংখ্যাটা প্রায় 2.6 মিলিয়ন, যারা সৌদির সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন । প্রধানমন্ত্রীর এই সফর দু'দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশেষ কার্যকর ভূমিকা নেবে । এই সফর উপসাগরীয় অঞ্চলে যৌথভাবে কাজ করার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে ।
তবে, এই সফরের সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ দিকটা হল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং সৌদি যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমন বিন আবদুলআজিজ আল-সৌদি যেভাবে নিজেদের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছেন, সেটা । 2010 সালের মার্চে রিয়াধ ঘোষণাপত্র অনুসারে ভারত-সৌদি আরব কূটনৈতিক সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে এই সফর বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ । দু'দেশের রাজনৈতিক চিন্তাভাবনা আদানপ্রদানের গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র হিসেবে এই সফর অত্যন্ত কার্যকর । শুধু আদানপ্রদান নয়, প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত কার্যকর করার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ । দুই দেশের বিদেশ ও বাণিজ্য মন্ত্রকের দুটি সমান্তরাল কাউন্সিলও তৈরির কথা চূড়ান্ত হয়েছে ।
শক্তি এবং বিনিয়োগের মজবুত ক্ষেত্র তৈরি করার জন্য এই কাউন্সিল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ । ভারত, চিন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অ্যামেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং জার্মানির সঙ্গে সৌদি আরবের বিশেষ কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে ।
ভারত এবং সৌদি আরবের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক মজবুত করার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং সৌদির যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমনের ব্যক্তিগত ক্যারিশমার কথা বলতেই হবে । অক্টোবর 2019 সালের প্রথমে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শ্রী অজিত ডোভালের সৌদি আবর সফর মোদির এই সফরের ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছিল ।
সামুদ্রিক নিরাপত্তা এবং সন্ত্রাসবাদ দমন-এই দুটি ক্ষেত্রে বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়াই এই কূটনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধির অন্যতম উদ্দেশ্য ।