ব্যাঙ্কক, 6 ডিসেম্বর :মায়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী আউং সান সু চি-কে চার বছরের কারাদণ্ড (Four Years Imprisonment for Aung San Suu Kyi) দিল নেইপিদোর একটি বিশেষ আদালত ৷ সোমবার সু চি-র বিরুদ্ধে এই রায় দেওয়া হয়েছে ৷ আইন বিভাগের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সু চি-র বিরুদ্ধে ওঠা কোভিডবিধি ভাঙার অভিযোগ প্রমাণিত (Covid Norms Violation) হওয়াতেই এই পদক্ষেপ করেছে আদালত ৷
আরও পড়ুন :বিক্ষোভ থামাতে আড়াই লক্ষ মানুষের উপর হামলা চালিয়েছে জুন্টা
দীর্ঘ সময় ধরে (1989 সাল থেকে টানা 15 বছর) গৃহবন্দি থাকার পর শেষ পর্যন্ত মায়ানমার সরকারে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পান সু চি ৷ কিন্তু, পরবর্তীতে তাঁর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠতে শুরু করে ৷ শেষমেশ চলতি বছরের 1 ফেব্রুয়ারি ফের একবার মায়ানমারের প্রশাসন নিজেদের দখলে নেয় সেনাবাহিনী ৷ সু চি-র দল ‘ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি’ (National League for Democracy) যাতে কোনওভাবেই পুনরায় সরকার গড়তে না পারে, তা নিশ্চিত করা হয় ৷ এরপর নোবেলজয়ী এই জননেত্রীর বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা রুজু করে সেদেশের সামরিক প্রশাসন ৷ সূত্রের খবর, এদিনের এই রায়দান তেমনই একটি মামলা সংক্রান্ত ৷ এরপর আগামী সপ্তাহের মধ্যেই অন্য মামলাগুলিরও রায়দান হয়ে যাবে ৷
আরও পড়ুন :দেশের স্বার্থে সেনা অভ্যুত্থান "অপরিহার্য" ছিল, দাবি মায়ানমারের সেনাপ্রধানের
সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি, সু চি-র বিরুদ্ধে মোট যতগুলি মামলা দায়ের করা হয়েছে, সেগুলির সবক’টিতেই তিনি যদি দোষী সাব্যস্ত হন, তাহলে তাঁর কারাদণ্ডের মেয়াদ হবে 100 বছরেরও বেশি ! প্রসঙ্গত, বর্তমানে সু চি-র বয়স 76 বছর ৷ সেক্ষেত্রে নতুন করে ঘটনার মোড় না ঘুরলে বাকি জীবনটা গারদের ভিতরেই কাটাতে হবে তাঁকে ৷ তবে সোমবারের রায়দানের পরও সু চি-কে আদৌ সংশোধনাগারে পাঠানো হবে নাকি অন্য কোথাও, নাকি তাঁকে গৃহবন্দি করে রাখা হবে, সেই বিষয়ে আদালত স্পষ্ট করে কিছু জানায়নি ৷