হায়দরাবাদ, 2 মে : কোরোনা ভাইরাসের উৎস কোথায় । কোথা থেকেই বা সংক্রমণ শুরু হল এই ভাইরাসের । তা এখনও রহস্যের । ইতিমধ্যেই বিশ্বজুড়ে নানা জল্পনা তৈরি হয়েছে কোরোনার উৎস ঘিরে । চিনের তরফে বলা হয়েছে, কোনও একটি বাজার থেকে ছড়িয়েছে এই ভাইরাস । বিশ্বের অন্য দেশগুলি অবশ্য বলছে, এই ভাইরাস ছড়ানোর পিছনে অন্য কিছু রয়েছে । এই মুহূর্তে কয়েকজন মহিলাকে ঘিরে কোরোনা উৎসের রহস্য দানা বেঁধেছে । তাঁদের ডাকা হচ্ছে পেশেন্ট জ়িরোজ় (Patient Zeroes) বলে । চিনের অভিযোগ, অ্যামেরিকাই এই কাজ করেছে । তাদের দাবি, ইউহানে অ্যামেরিকার কোনও এক মহিলা সৈনিকের মাধ্যমে ছড়ানো হয়েছে এই ভাইরাস । অন্যদিকে, ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ অন্য দেশের প্রতিনিধিরা বার বার কোরোনা নিয়ে আক্রমণ করছে চিনকে । তাঁদের দাবি, চিনে কোথা থেকে এই ভাইরাস এল তার বিস্তারিত তথ্য জানার সুযোগ দেওয়া হোক অন্য দেশগুলিকে । কিন্তু চিন সে কাজ করতে দিচ্ছে না । রয়েছেন আরও কয়েকজন সন্দেহভাজন। কোরোনার উৎস নিয়ে যে নতুন রহস্য দানা বেঁধেছে তা আসলে কী ?
পাঁচটি দেশের নজর রয়েছে এই মহিলার উপর
কোরোনার জন্ম রহস্য ঘিরে চিনের এক শীর্ষস্থানীয় ভাইরোলজিস্ট শি জিয়াংলির নাম জড়িয়েছে । এক দৈনিক সংবাদপত্র তাদের এক প্রতিবেদনে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছে । তাতে বলা হয়েছে এই ভাইরোলজিস্ট শি জিয়াংলির উপর দীর্ঘদিন ধরে নজর রাখছে ফাইভ আই নামে এক গোয়ন্দা সংস্থা । এই সংস্থা অ্যামেরিকা, ব্রিটেন, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজ়িল্যান্ডের এক ইউনাইটেড ইন্টেলিজেন্স ইউনিট । জানা গেছে, অতীতে এক বিজ্ঞানীর সঙ্গে যৌথভাবে অস্ট্রেলিয়ার দা কমনওয়েলথ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল অর্গানাইজ়েশনে বাদুড়ে উপস্থিত ভাইরাসের উপর গবেষণা চালাচ্ছিলেন শি জিয়াংলি । এমনকী তারা চিনেও তাদের গবেষণা চালিয়ে যায়।
এরই মাঝে চিনে কোরোনা ছড়িয়ে পড়ার খবর সামনে আসে । জানা যায়, এই বিজ্ঞানীদের মধ্যে একজন এনিয়ে সংবাদ মাধ্যমের সামনেও ভুল করে কিছু বলে ফেলেছিলেন । একজনের মুখ ফসকে নাকি বেরিয়ে যায়, আমাদের ল্যাব থেকে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েনি তো? কিন্তু বোঝার আগেই সব শেষ । এরপর অবশ্য P4 ল্য়াবরেটরির দায়িত্ব নিয়ে নেয় চিনের সেনা বাহিনী ।
হুনান মার্কেটের মাছ বিক্রেতা, প্রথম পেশেন্ট জ়িরো
চিনের হুনান বাজারে চিংড়ি বিক্রেতা এক মহিলার শরীরে কোরোনা সংক্রমিত হয় । য়ু জ়শান নামে ওই মহিলা দাবি করেন, তিনি মার্কেটের টয়লেট ব্যবহার করার পর সংক্রমিত হয়েছেন । ডিসেম্বরের 10 তারিখ তাঁর প্রথমে জ্বর, সর্দি, কাশি দেখা দেয় । তিনি স্থানীয় চিকিৎসকদের কাছে গেলে তাঁরা প্রাথমিক চিকিৎসা করে ছেড়ে দেন । কিন্তু তাতে কাজ হয়নি । জ্বর বাড়তে থাকায় এরপর তিনি ইউহানের একটি হাসপাতালে যান । তারপর তাঁকে সেখানকারই আরেকটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় । সেখানকার চিকিৎসকরা বুঝতে পারেন তিনি কোরোনা ভাইরাসে আক্রান্ত । তড়িঘড়ি বন্ধ করে দেওয়া হয় হুনানের মাছের বাজারটি । এপর্যন্ত ভাইরাসটি তাঁর শরীরে কীভাবে সংক্রমিত হল বা ভাইরাসটি এল কোথা থেকে তা নিয়ে তিনি বা চিকিৎসকরা কেই কিছু বলতে পারেননি । কিছু সংবাদমাধ্যম তাঁকে পেশেন্ট জ়িরো বললেও গবেষকদের একাংশ তাঁকে এমনটা বলতে নারাজ ।