নিউদিল্লি, 14 এপ্রিল : লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল থেকে বাহিনী সরালেও ভারত-চিন সীমানা নিয়ে উত্তেজনার পারদ আগের মতোই তুঙ্গে ৷ কারণ চিন তার ক্রমবর্ধমান শক্তিবৃদ্ধি আর দুই দেশের মধ্যে বিতর্কিত অঞ্চলগুলির উপর অধিকার পুরোপুরি ছেড়ে দেয়নি ৷ এমনকি ওই অঞ্চলের প্রতিবেশীদের চুপচাপ বেজিংয়ের কথা শুনতে বাধ্য করছে ৷ এমনই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টেলিজেন্স সংস্থা ৷
- ভারত-চিন সীমানা-কথা
এই দপ্তরের অ্যানুয়াল থ্রেট এসেসমেন্ট নামক রিপোর্টে তারা জানিয়েছে, '1975 সালের পর ভারত-চিনের বিতর্কিত সীমারেখায় এরকম ভয়াবহ মারদাঙ্গা হয়েছে 2020-র মে মাসে ৷ এর পর চিন তাদের দখল করা জায়গাগুলো থেকে সেনা সরিয়ে নিলেও দুদেশের সীমানা বিতর্ক এখনও চরমে ৷ ফেব্রুয়ারির মাঝে ঘন ঘন বৈঠকের পর দুপক্ষই ওই অঞ্চলের বিতর্কিত জায়গার কিছু কিছু অঞ্চল থেকে সেনাবাহিনী আর জিনিসপত্র সরিয়ে নিয়েছে ৷'
- বেজিংয়ের শক্তিবৃদ্ধ
বেজিং তার বাড়তে থাকা সামরিক শক্তির সঙ্গে অর্থনৈতিক, প্রযুক্তি আর কূটনৈতিক পরিকাঠামোকে একত্রিত করছে ৷ তাদের পছন্দের অঞ্চলগুলি আর সেখানে তাদের অগ্রাধিকারকে সুরক্ষিত করার জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ৷ এর জন্য প্রয়োজনীয় খরচ তুলতে আন্তর্জাতিক স্তরে ওয়াশিংটনের পেছনে ঘুরছে ৷
দক্ষিণ চিন সাগরে তাদের শত্রু দাবিদারদের ভয় দেখানোর কাজটা তারা চালিয়ে যাবে ৷ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিবদমান জায়গাগুলোতে তাদের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে তাদের বিমান, নৌ আর সমুদ্র সংক্রান্ত আইন গায়ের জোরে বলবৎ করতে চাইছে ৷ একই ভাবে পূর্ব চিন সাগরে জাপানের ওপরও চাপ সৃষ্টি করছে ৷
- বিশ্বে সবচেয়ে ক্ষমতাশালী উপ-মহাদেশ
বিশ্বে সুপার পাওয়ার হওয়ার লক্ষ্য পূরণের চেষ্টা চালিয়ে যাবে চিন ৷ যে অঞ্চলগুলি তার নিজের বলে মনে করছে, সেগুলিকে রক্ষা করা, সেখানে স্থানীয় বিষয়ে নিজের প্রভাব কার্যকর করবে ৷ আর এসব করতে পৃথিবীতে শ্রেষ্ঠ সামরিক বাহিনী তৈরি করবে তারা ৷ আন্তর্জাতিক নিয়ম আর সম্পর্কগুলোকে কোনও পাত্তাই দেবে না তারা ৷ চিনের সামরিক বাহিনী তৈরির অঙ্গীকারের মধ্যে বহু বছর ধরে পরিকল্পনা চলছে ৷ সব দিক দিয়ে সামরিকবাহিনীকে ত্রুটিমুক্ত করার পদক্ষেপ করে চলেছে তারা ৷