ওয়াশিংটন, ১৩ মার্চ : খতম জঙ্গিদের মৃতদেহগুলি রাতারাতি বালাকোট থেকে খাইবার পাখতুনখাওয়া ও উপজাতি এলাকায় সরিয়ে দেওয়া হয়। দাবি পাকিস্তানের গিলগিটের সমাজকর্মী সেনগে হাসনান সেরিংয়ের।
২৬ ফেব্রুয়ারি, পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর ও পাকিস্তানের একাধিক জঙ্গিঘাঁটিতে অভিযান চালায় ভারতীয় বায়ুসেনা। অভিযানে ৩০০-র বেশি জইশ জঙ্গি খতম হয়েছে। যদিও প্রথম থেকেই হামলায় ক্ষয়ক্ষতি তেমন হয়নি বলে দাবি করছিল পাকিস্তান।
এপ্রসঙ্গে গিলগিটের সমাজকর্মী সেনগে হাসনান সেরিং বলেন, "আমি নিশ্চিত যে বালাকোটে এমন কিছু হয়েছিল যা পাকিস্তান লুকোতে চাইছে। ভারতীয় বায়ুসেনার অভিযানের পর পাকিস্তান ওই এলাকায় কোনও সংবাদমাধ্যমকে ঢুকতে দিতে চায়নি। পাকিস্তান প্রথম থেকে দাবি করে আসছে যে বায়ুসেনার অভিযানে তেমন কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তাহলে ওরা কেন গোটা এলাকা ঘিরে রেখেছিল ? এবং কোনও বিদেশি সংবাদমাধ্যকেও ঢুকতে দিতে চায়নি।"
তিনি আরও বলেন, "জইশ-ই-মহম্মদ বলেছিল যে বালাকোটের ওই জায়গায় তাদের মাদ্রাসা ছিল। ওই সময়ে একটি উর্দু সংবাদমাধ্যমে বলা হয় যে জঙ্গিদের দেহ পরদিনই বালাকোট থেকে খাইবার পাখতুনখাওয়া ও উপজাতি অধ্যুষিত এলাকায় সরিয়ে দেওয়া হয়। বালাকোটে ভারতের অভিযান যে সফল তার একাধিক প্রমাণ রয়েছে।"