থিম্পু, 18 জুন : ইতিহাসের পাতায়, রূপকথার গল্পে অনেক রাজার গল্প আমরা শুনেছি ৷ অত্যাচারী রাজা, খামখেয়ালি রাজা, সন্ন্যাসী রাজা, দানী রাজা কিংবা প্রজাবৎসল রাজা ৷ এ বার গল্পের পাতা থেকে একেবারে বাস্তবের মাটিতে দেখা মিলল আক্ষরিক অর্থেই এক প্রজাবৎসল রাজার ৷ ভুটানের রাজা জিগমে খেসর নামগেইল ওয়াংচুক ৷ রাজ্যের মানুষের স্বার্থে নিজের বিলাসী জীবন ছেড়ে সীমান্তে গিয়ে পাহারা দিচ্ছেন তিনি ৷ লক্ষ্য, করোনার সংক্রমণ মোকাবিলা ৷
ভুটানের পূর্ব সীমান্ত দিয়ে প্রায়ই হয়ে থাকে বেআইনি অনুপ্রবেশ ৷ আর এ ভাবেই করোনা ভাইরাসেরও দেশে ঢুকে পড়ার প্রবল আশঙ্কা তৈরি হয়েছে ৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে অভিনব এক পদক্ষেপ করেছেন ভুটানের রাজা জিগমে খেসর নামগেইল ওয়াংচুক ৷ করোনার সংক্রমণ ছড়ানো রুখতে তিনি নিজে পূর্বের সীমান্ত এলাকায় দাঁড়িয়ে থেকে পাহারা দিচ্ছেন ৷ যাতে বেআইনি অনুপ্রবেশ না ঘটে ৷ এক-দুদিন নয়, এ ভাবেই ঝড়-জল-রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে তিনি দাঁড়িয়ে রয়েছেন টানা পাঁচদিন ৷ তিনি একা নয়, তাঁর সঙ্গী আর এক পাহারাদার দেশের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং ৷
আরও পড়ুন:দেশে করোনা পরিস্থিতিতে স্বস্তি, কমল দৈনিক আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা
ভুটান মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তেনজিং লামসাং রাজা ও প্রধানমন্ত্রীর সীমান্ত পাহারা দেওয়ার বেশ কয়েকটি ছবি টুইট করেছেন ৷ যেখানে দেখা যাচ্ছে পাহাড়ের খাঁড়াই বেয়ে, গভীর জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে এগিয়ে চলেছেন রাজা ৷ পোস্টটির ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, "সম্মানীয় রাজা জঙ্গল, পাহাড় পেরিয়ে 5 দিন ধরে ট্রেক করে ভুটানের পূর্ব সীমান্ত এলাকায় গিয়েছেন ৷ কোভিড 19 প্রতিরোধে সীমান্তের পোস্টগুলিতে পাহারা দিচ্ছেন তিনি ৷ অতিমারি শুরু হওয়ার পর থেকে এই এলাকায় 14-15 বার সফরে গেলেন রাজা ৷ তাঁর সঙ্গে এ বার গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ৷"
আরও পড়ুন:মিলছে না ফ্রি রেশন, স্বাস্থ্য পরিষেবা; কোভিডে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত শরণার্থীরা