বাগদাদ, 3 জানুয়ারি : বাগদাদ বিমানবন্দরে অ্যামেরিকার সেনা অভিযান । বিমান হানায় মিজ়াইল বর্ষণের ফলে ইরানের রেভোলিউশনারি গার্ড কোরের কাদ্স ফোর্সের কমান্ডার কাসেম সুলেইমানি সহ মোট আটজনের মৃত্যু হয়েছে । এই ঘটনায় ইরাকের মানুষ খুব খুশি, একথা জানিয়ে একটি ভিডিয়ো-সহ টুইট করেছেন অ্যামেরিকার বিদেশ সচিব মাইক পম্পেয়ো। তিনি টুইটে লেখেন, ''জেনেরাল সোলেইমানি আর নেই জেনে রাস্তায় আনন্দ-নৃত্য করছেন ইরাকের মানুষ।''
ইরাকের সেনা সূত্রে খবর, আজ ভোরে বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অভিযান চালানো হয়েছে অ্যামেরিকার সেনাবাহিনীর তরফে । পাশাপাশি দুটি গাড়িও বিস্ফোরণ হয় । শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মোট আটজনের মৃত্যু হয়েছে । ইরাকের ঘটনার অব্যবহিত পরই অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাষ্ট্রের পতাকার ছবি পোস্ট করেন টুইটে ৷
রাজনৈতিক মহল বলছে, এভাবেই দূতাবাসে আগুন ও ভাঙচুরের পরে জবাব দিল অ্যামেরিকা । পশ্চিম এশিয়ায় শয়ে শয়ে সেনা পাঠানো শুরু করেছে ট্রাম্প প্রশাসন ৷ বাগদাদের মার্কিন দূতাবাসে হামলার বড়সড় মূল্য চোকাতে হবে তেহরানকে এমনটাই ঘোষণা করেছিলেন অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট , আর হলও তাই ৷ দেশের বাইরে কর্মরত অ্যামেরিকার নাগরিকদের রক্ষার জন্য সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ করা হয়েছে ৷ পদক্ষেপ করা হয়েছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশেই ৷ ইরানের কমান্ডার সোলেইমানির মৃত্যুর পর পেন্টাগনের তরফে জানানো হয়েছে এমনই ৷