দাঁড়াও এবং পিছনে ফিরে যাও । ঠিক করো এবং বৃদ্ধি করো ।
গত চার বছর ধরে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অধীনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে যে পথে যেতে দেখা গিয়েছে, জো বাইডেন সম্পূর্ণ একটি ভিন্ন পথে দেশকে নিয়ে যাবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন । এর মধ্যে যেমন রয়েছে কোরোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে মোকাবিলা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি, তেমনই রয়েছে পরিবেশ, শিক্ষা ও অনান্য বিষয় ।
প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বেরিয়ে এসেছিল ট্রাম্পের নীতির কারণে । এর ফলে পরিবেশ দূষণের সুরক্ষার বিষয়টি দুর্বল হয়ে পড়েছে । ডেমোক্র্যাটিক পার্টি থেকে নির্বাচিত পরবর্তী প্রেসিডেন্ট সেই নীতি প্রত্যাহার করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে রেখেছেন ।
ট্রাম্প অ্যাফ্রোডেবল কেয়ার অ্যাক্টকে শেষ করতে চেয়েছিলেন । সেখানে বাইডেন ‘ওবামা কেয়ার’-এর বিষয়টি বৃদ্ধি করতে চেয়েছেন । তবে এর সঙ্গে তিনি জনগণের বিষয়টি জুড়ে আরও অ্যামেরিকাবাসীকে এর সঙ্গে সংযুক্ত করতে চান ।
এখানে আমরা উল্লেখ করব যে বাইডেনের প্রেসিডেন্ট থাকার সময়কালে কী হতে পারে, তা নিয়ে আমরা কী জানি ।
অর্থনীতি, কর ও ঋণ
14 জানুয়ারি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট-ইলেক্ট জো বাইডেন একটি 1.9 ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছে । এতে দেশের অর্থনীতিকে যেমন পুনরুদ্ধার করা হবে । তেমনই কোরোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করা হবে । সমান্তরাল ভাবে একদিকে যেমন এটা অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করতে সাহায্য করবে, তেমনই জনস্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলে প্যানডেমিকের উপর প্রভাব বিস্তার করতে পারবে ।
এর নাম দেওয়া হয়েছে, ‘অ্যামেরিকান রেসকিউ প্ল্যান’ । এর উদ্দেশ্য প্যানডেমিককে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা। ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজে গতি নিয়ে আসা এবং অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে সংকটে পড়ে যাওয়া ব্যক্তি, প্রদেশ ও স্থানীয় সরকারকে এবং ব্যবসা আর্থিক সাহায্য করার বিষয়টিও এর মধ্যে থাকবে।
বাইডেন জানিয়েছেন যে যতদিন না কোভিড-19 কে থামানো যাচ্ছে, ততদিন অর্থনীতিকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে না।
দীর্ঘমেয়াদী সমস্যা সমাধানের জন্য প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট ফেডারেল ব্যবস্থার উপর জোর দিয়েছেন, যাতে আর্থিক মন্দাকে এড়ানো যায় । আর অ-শ্বেতাঙ্গ অ্যামেরিকানদের উপর আসমাঞ্জস্যপূর্ণ ভাবে পড়া সম্পদের অসমবণ্টন সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান করা যায় ।
তিনি 2017 সালের জিওপি ট্যাক্স ওভারহল ফিরিয়ে আনতে পারেন। এর ফলে পরিবেশ ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত প্রস্তাবের খরচ সামাল দেওয়া যায় । তিনি কর্পোরেট আয়করকে 28 শতাংশ করতে চান । যা এখনকার থেকে বেশি। কিন্তু আগেকার থেকে কম । বেশি রোজগার ও চাকরির ক্ষেত্রে বার্ষিক কর প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য বাড়িয়ে 4 লক্ষ মার্কিন ডলার করতে চান । এর ফলে 10 বছরে 4 ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার বা তার বেশি আসতে পারে ।
অভিবাসনের বিষয়টিকে অর্থনৈতিক দিক থেকে দেখে ঠিক করতে চাইতে চাইছেন বাইডেন । যে 11 মিলিয়ন মানুষ এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বেআইনি ভাবে রয়েছেন । কিন্তু তাঁরা কর্মী হিসেবে বা গ্রাহক হিসেবে অর্থনীতিতে অবদান রাখছেন, তাঁদের নাগরিকত্ব পাওয়ার পথ প্রশস্ত করার জন্য বাইডেন আইনি অভিবাসনের বিষয়টিকে বৃদ্ধি করতে চাইছেন । ফেডারেল বাজেটের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত একটি কমিটির বিশ্লেষণ হল বাইডেন তাঁর প্রচারের সময় যে সব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তাতে আগামী 10 বছরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের ঋণের পরিমাণ 5.6 ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার বৃদ্ধি পেতে পারে ।
কোরোনা ভাইরাস প্যানডেমিক
প্যানডেমিকের বিষয়ে ট্রাম্পের থেকে কিছু তীক্ষ্ণ পার্থক্য তৈরি করেছেন বাইডেন । তিনি প্রেসিডেন্সি ও ফেডারেল সরকারের অস্তিত্ব এই সংকটের সময়ে কী, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন । প্রদেশ সরকারগুলি ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে ফেডারেল সরকারের সাহায্যে কোনও অগ্রণী ভূমিকা নিতে পারে বলে মনে করতেন ট্রাম্প । বাইডেন এই মতের শরিক নন ।
বাইডেন ফেডারেল সরকারের হাতে খরচের ভার রাখার পক্ষে । যে খরচের মাধ্যমে ব্যবসা ও ব্যক্তি এবং প্রদেশ ও স্থানীয় সরকারগুলিকে সাহায্য করা যাবে । কারণ, এই প্যানডেমিকের জেরে সমস্যায় পড়েছে এরা । তিনি প্রতিশ্রিুতি দিয়েছেন যে দ্য ডিফেন্স প্রোডাকশন অ্যাক্ট, দ্য ওয়ারটাইম ল একজন প্রেসিডেন্ট হিসেবে আরও বেশি প্রয়োগ করবেন । যাতে সংকটে প্রয়োজনীয় সামগ্রী তৈরি করা যায় । ট্রাম্প এই আইন প্রয়োগ করে ভেন্টিলেটর তৈরির কাজ করেছিলেন ।
বাইডেন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে সরকারি বিজ্ঞানী ও চিকিৎসকরা আরও বেশি করে সাধারণ মানুষের সঙ্গে বার্তা বিনিময় করে যোগাযোগ রাখবেন । আর বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রর আবার যোগদান করবে ।
তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে সরকারি দায়িত্ব হস্তান্তরের প্রক্রিয়ার সময় তিনি গভর্নরদের সঙ্গে বৈঠক করবেন । যেহেতু ফেডারেল সরকারগুলির কোনও ক্ষমতা নেই , তাই তিনি গর্ভনরদের দেশজুড়ে মাস্ক ম্যানডেট লাগু করার কথা বলবেন । সমস্ত কাউন্টি ও স্থানীয় আধিকারিকদের ক্ষেত্রে যে সমস্ত নির্দেশ প্রশ্ন তৈরি করে, সেগুলিকে স্থগিত করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন বাইডেন ।
স্বাস্থ্য সুরক্ষা
ওবামা প্রশাসনের স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইনের নাম ছিল ‘ওবামা কেয়ার’ । যা প্রশাসনের একটা চিহ্ন হিসেবে ছিল । বাইডেন সেটাকেই নতুন করে তৈরি করতে চান, যেখানে সবাই পরিষেবা পাবেন । তিনি একটা ‘মেডিকেয়ার’ তৈরি করতে চান, যা সকল মানুষের জন্য হবে । একদিকে তা বেসরকারি বিমার বাজারের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলতে পারবে কর্মী অ্যামেরিকানদের জন্য । অন্যদিকে যাঁরা ইতিমধ্যেই ব্যবহার করছেন, তাঁদের কিস্তিতে ভর্তুকি দেওয়া যাবে । ভর্তুকি দেওয়া স্বাস্থ্য বিমা মধ্যবিত্তরা গ্রহণ করতে পারবেন । বাইডেনের হিসেব অনুযায়ী, এই পরিকল্পনা বাস্তবে রূপ দিতে গেলে আগামী 10 বছরে 750 মার্কিন ডলার খরচ করতে হবে । এখানেই ট্রাম্প ও বাইডেনের মধ্যে পার্থক্য । ট্রাম্প 2010 সালের স্বাস্থ্য আইন বাতিল করতে চেয়েছিলেন । আর বাইডেন চান বেসরকারি বিমা ব্যবস্থার জায়গা নেবে সরকার পরিচালিত কোনও প্রকল্প । বাইডেন তাঁর কাজের পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে ইউনিভার্সল কভারেজের বিষয়টি তুলে ধরতে চাইছেন । যা তিনি কংগ্রেসের মাধ্যমে করে ফেলতে পারবেন । এই সিদ্ধান্তের ফলে যে সমস্যা তৈরি হতে পারে, তার সঙ্গে লড়াই করতে হবে প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে । প্রেসক্রিপশনে থাকা ওষুধগুলির ক্ষেত্রে সরকারি কর্মসূচি ও বেসরকারি ক্ষেত্রগুলির মধ্যে সমঝোতায় একটি আইন আনতে চান বাইডেন । তিনি চান যে সমস্ত মানুষ মেডিকেয়ার বা অন্য ফেডারেল প্রোগ্রামের মধ্যে আছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে ওষুধ কোম্পানিগুলি ইচ্ছেমতো দাম বাড়াতে পারবে না । গুরুতর অসুস্থতাগুলির চিকিৎসা করার জন্য, অন্যান্য দেশগুলি যে অর্থ প্রদান করে তা ব্যবহার করে তিনি ‘স্পেশালিটি ড্রাগ’গুলির দাম একটি প্রাথমিক স্তরে সীমাবদ্ধ রাখতে চাইছেন ।
বাইডেন মেডিকেয়ার তালিকাভুক্তদের জন্য বার্ষিক ওষুধের একটা সীমা তৈরি করতে চান । ট্রাম্পও এটা করতে চেয়েছিলেন । কিন্তু কংগ্রেস থেকে এটা করাতে পারেননি । ট্রাম্পের মতোই বাইডেনও সুরক্ষা সাপেক্ষে প্রেসক্রিপশনে থাকা ওষুধ আমদানির অনুমতি দেবেন ।
অভিবাসন
বাইডেন অভিবাসন বিষয়ে ট্রাম্পের পদক্ষেপগুলি অ্যামেরিকান মূল্যবোধের উপর একটি ‘নিরলস হামল’বলে অভিহিত করেছেন এবং বলেছেন যে তিনি সীমান্ত সংক্রান্ত সুরক্ষা বজায় এই ‘বিষয়টিকে পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনবেন’ ।
বাইডেন বলেছেন যে তিনি অবিলম্বে ডিফার্ড অ্যাকশন ফর চাইল্ডহুড অ্যারাইভালস প্রোগ্রাম বা ডিএসিএ পুনরায় ফিরিয়ে আনবেন । যার ফলে বেআইনি ভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আনা শিশুরা আইনত বাসিন্দা হওয়ার অধিকার পাবে । এবং ট্রাম্পের দ্বারা আরোপিত আশ্রয়-নিষেধাজ্ঞার অবসান ঘটবে ।
তিনি আরও বলেছিলেন যে তিনি ট্রাম্প প্রশাসনের ‘পাবলিক চার্জ রুল’ বন্ধ করে দেবেন । যা মেডিকেড, ফুড স্ট্যাম্প বা আবাসন ভাউচার ব্যবহার করে যাঁরা সরকারি পরিষেবা নেন, এমন লোকদের ভিসা বা স্থায়ীভাবে বসবাসের বিষয়টি না দেওয়ার কথা বলেছিল । বাইডেন 100 দিনের জন্য সমস্ত রকমের নির্বাসন বন্ধ রাখবেন । আর তাঁর প্রশাসন ট্রাম্পের নীতিগুলি রদ করার বিষয়ে সমীক্ষা করে দেখবে । তবে অবৈধভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আগত এবং যারা অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন বা জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সমস্যার , এমন অবৈধভাবে আসা অভিবাসীদের বের করে দেওয়ার জন্য বাইডেন ওবাম-যুগের নীতি ফিরিয়ে আনবেন । আর ট্রাম্পের পন্থা অনুযায়ী সব অভিবাসীই বেআইনি ভাবে এসেছে, তাকে মানবেন না । বাইডেন বলেছেন যে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো সীমান্তে নতুন দেওয়াল নির্মাণের জন্য সমস্ত কাজ বন্ধ করবেন ।
বিদেশ নীতি ও জাতীয় নিরাপত্তা
বাইডেন মার্কিন সেনাদের বিমানে বোঝাই করে পাঠানোর পরিবর্তে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ বাহিনীকে ব্যবহার করে এবং বিমান হামলার সাহায্যে বিদেশে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কৌশলকে সমর্থন করেন । তিনি দেখতে চান যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গুয়ান্তানামো উপসাগরে আটক করার শিবির বন্ধ করে দিয়েছে । তিনি 2003 সালে ইরাকের আক্রমণ- সহ কয়েকটি মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপকে সমর্থন করেছিলেন । কিন্তু তিনি এখন বলছেন যে ওটা ভুল হয়েছিল । বরং তিনি এবার জোট ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলির মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে চাইছেন ।
তিনি ন্যাটোর শক্তিশালী সমর্থক । তিনি সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে মস্কো পশ্চিমী গণতন্ত্রের ভিত্তিতে তৈরি ন্যাটোকে দুর্বল করার, ইউরোপীয় ইউনিয়নকে বিভক্ত করার এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে দুর্বল করার চেষ্টা করে চলেছে । তিনি আরও অভিযোগ করেছেন যে রাশিয়া পশ্চিমী আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে কয়েক বিলিয়ন ডলার দিয়ে রাজনীতিবিদদের প্রভাবিত করতে ব্যবহার করছে ।
বাইডেন এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরে নৌবাহিনীর উপস্থিতি বৃদ্ধি এবং জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া এবং ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে জোট জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছেন । তিনি মধ্য প্রাচ্য ও আফগানিস্তানে যুদ্ধ শেষ করতে ট্রাম্পের সঙ্গে সহমত পোষণ করেন । কিন্তু তিনি মনে করেন যে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উচিত একটি ছোট বাহিনী ওই অঞ্চলগুলিতে রাখা উচিত ।
তিনি বলেছেন, ইরান পারমাণবিক চুক্তি এবং প্যারিস জলবায়ু চুক্তির মতো দ্বিপাক্ষিক ও আন্তর্জাতিক চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত ট্রাম্প নেওয়ায়, অন্য দেশ ওয়াশিংটনের কথার উপর সন্দেহ করতে শুরু করেছে । কীভাবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে, কর্তৃত্ববাদকে ব্যর্থ করতে এবং মানবাধিকারকে সমর্থন করতে হবে, সে বিষয়ে আলোচনা করার জন্য সব গণতান্ত্রিক দেশকে একটি সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানাতে চান বাইডেন ।
ইজরায়েলের কাছে ‘আয়রন ক্ল্যাড’ সমর্থনের দাবিদার বাইডেন । তিনি সংযুক্তি রোধ করতে চান এবং ইজরায়েল ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে দীর্ঘ দ্বন্দ্বের ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সমাধানকে সমর্থন করেছেন । তিনি বলেছেন যে ট্রাম্প তেল আভিভ থেকে মার্কিন দূতাবাস যে জেরুজালেমে সরিয়েছিলেন, তিনিও সেটা সেখানেই রাখবেন ।
বাইডেন কিম জং উনের সঙ্গে ট্রাম্পের কূটনীতির সমালোচনা করেছেন । তিনি বলেছেন, ট্রাম্পের এই একার কূটনীতি উত্তর কোরিয়ার নেতাকে বৈধতা দিয়েছে । আর ট্রাম্প কিমকে পারমাণবিক অস্ত্র ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে রাজি করাতে পারেননি ।
পরিবেশ