ওয়াশিংটন : নাসা তার স্পেস লঞ্চ সিস্টেম রকেটের গুরুত্বপূর্ণ হট ফায়ার টেস্ট সম্পূর্ণ করল । এই রকেট তৈরি হয়েছে ভবিষ্যতের চন্দ্রাভিযানের লক্ষ্যে নাসার আর্টেমিস প্রোগ্রামের জন্য । নাসা বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, এই সফল পরীক্ষা তাদের আর্টেমিস ওয়ান মিশনের আগে একটা গুরুত্বপূর্ণ মাইলস্টোন । এই মিশনের আওতায় যাত্রীবিহীন ওরিয়ন মহাকাশযানকে চাঁদের চারপাশে ঘুরিয়ে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা হবে । এর ফলে ভবিষ্যতের আর্টেমিস মিশনে মহাকাশচারীদের পাঠানোর পথ প্রশস্ত হবে ।
এই পরীক্ষা থেকে পাওয়া তথ্য মহাকাশযানের কোর স্টেজ ডিজ়াইনে কাজে লাগানো হবে । নাসার ভারপ্রাপ্ত প্রশাসক স্টিভ জুরজিক একটি বিবৃতিতে বলেছেন,"এসএলএস হল এখনও পর্যন্ত নাসার তৈরি সবথেকে শক্তিশালী রকেট । আজকের পরীক্ষায়, রকেট মাত্র সাত সেকেন্ডে 1.6 মিলিয়ন পাউন্ড চাপ তৈরি করতে পেরেছে ।”
“এসএলএস হল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এক অসামান্য কীর্তি । এটাই একমাত্র রকেট যা আমেরিকার পরবর্তী প্রজন্মের অভিযানগুলোতে গতি যোগাবে, যাতে ভর করে প্রথম নারী ও পরবর্তী পুরুষ চাঁদে পৌঁছবেন ।”
নাসা এর আগে 16 জানুয়ারি এসএলএসের একটি হট ফায়ার টেস্ট করে, যা আশানুরূপ হয়নি । সেখান থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে নাসা দ্বিতীয়বার, আরও লম্বা সময় ধরে হট ফায়ার টেস্টের সিদ্ধান্ত নেয়, যেখান থেকে পাওয়া তথ্য মহাকাশযানের কোর স্টেজের নকশা তৈরিতে সাহায্য করবে, যার ফলে আর্টেমিস ওয়ানে ঝুঁকি কমবে ।
দ্বিতীয় পরীক্ষার সময় ইঞ্জিন আট মিনিটের কিছু বেশি সময় চালানো হয়, আর্টেমিস চাঁদের দিকে রওনার সময়ও এমনটাই থাকবে । দীর্ঘ সময় ধরে হট ফায়ার পরীক্ষা বিভিন্ন অপারেশনাল বিকল্প সামনে রেখেছে, যার মধ্যে রয়েছে ইঞ্জিন যে ধাক্কাটা দিচ্ছে, তাকে নিয়ন্ত্রণ করা, ইঞ্জিনের ক্ষমতাকে 109 শতাংশ পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া, থ্রটলিং আগুপিছু করা – ঠিক যেমনটা হবে উড়ানের সময় ।
আরও পড়ুন : 21 মার্চ পৃথিবীর পাশ দিয়ে নিরাপদে চলে যাবে গ্রহাণু 2001 এফও32
এরপর এসএলএসের কোর স্টেজকে ঢেলে সাজানো হবে, তারপর ফ্লোরিডায় নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টারে পাঠিয়ে দেওয়া হবে । নাসা বলেছে যে এসএলএস-ই হল একমাত্র রকেট, যা একটি মিশনে ওরায়ন মহাকাশযানে নভোচরদের চাঁদে নিয়ে যেতে পারে । নাসার আর্টেমিস মিশনে চাঁদ থেকে মঙ্গলেও মহাকাশচারীদের পাঠানোর দিকটিও খতিয়ে দেখা হবে ।