ওয়াশিংটন, 8 নভেম্বর : কমলা হ্যারিস ৷ অ্যামেরিকায় বর্ণবিদ্বেষ বিরোধী লড়াইয়ের অন্যতম মুখ ৷ যাঁকে বারবার দেখা গিয়েছে অ্যামেরিকার রাস্তায় কৃষ্ণাঙ্গদের অধিকারের দাবি নিয়ে সরব হতে ৷ আজ তিনি অ্যামেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট ৷ প্রথম কোনও মহিলা ও অশ্বেতাঙ্গ, এশীয়-অ্যামেরিকান হিসেবে যিনি এই পদে নির্বাচিত হলেন ।
56 বছর বয়সি কমলা হ্যারিসের জন্ম ক্যালিফোর্নিয়ায় । তাঁর বাবা ডোনাল্ড হ্যারিস এবং মা শ্যামলা গোপালন দু’জনেই ছিলেন অভিবাসী । ডোনাল্ড ও শ্যামলার প্রথম বার দেখা হয় UC বার্কলেতে । স্নাতক স্তরের পড়াশোনার পাশাপাশি সেখানে তাঁরা নাগরিকদের অধিকার সংক্রান্ত আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন ।
ডোনাল্ড হ্যারিস এসেছিলেন জামাইকা থেকে । মা শ্যামলা অ্যামেরিকার UC বার্কলে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে গিয়েছিলেন ভারতের তামিলনাডু থেকে । শ্যামলার বাবা পিভি গোপালন ছিলেন এক পদস্থ সরকারি কর্মচারী । তিনি আজীবন দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন । তিনি তাঁর বড় মেয়ের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেন এবং মেয়ের স্বপ্ন সফল করতে অবসরের সঞ্চয় দিয়ে তাঁকে সমুদ্র পাড়ি দিতে সাহায্য করেন ।
কমলার বয়স যখন 7 তখন বিচ্ছেদ হয়ে যায় তাঁর বাবা ও মায়ের ৷ এক সাক্ষাৎকারে কমলা তাঁর দাদুর প্রসঙ্গে বলেছেন যে, দাদু ছিলেন তাঁর সবচেয়ে পছন্দের মানুষের মধ্যে অন্যতম । এমনকী তাঁর কাছ থেকে মানুষের জন্য কাজ করার অনেক কিছু শিখেছেন । যত বার কমলা বক্তৃতা দিয়েছেন ততবারই উঠে এসেছে তাঁর মায়ের প্রসঙ্গ । বলেছেন, “আমার মায়ের গায়ের রং বাদামি । তিনি একার হাতে আমাদের দুই বোনকে বড় করে তোলেন । তিনি ছিলেন একজন গর্বিত মহিলা । তাঁর উচ্চারণে যথেষ্ট টান ছিল । তিনি এমন একজন মানুষ ছিলেন যাঁকে খুব সহজেই উপেক্ষা করা যায় । অনেকেই তাঁকে বিশেষ গুরুত্ব দেননি । এমনকী তাঁর উচ্চারণ দেখে তাঁর বুদ্ধিমত্তাও বিচার করেছেন অনেকে । কিন্তু আমার মা প্রতি ক্ষেত্রেই তাঁদের ভুল প্রমাণ করেছেন ।"