ওয়াশিংটন, 20 এপ্রিল: তিনি বুঝতে পারছেন ভারতের ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতিতে ভ্যাকসিন উৎপাদনে প্রয়োজনীয় কাঁচামাল বা ওষুধ কতটা জরুরি, কিন্তু ডিপিএ অ্যাক্ট অনুযায়ী কিছু বিধিনিষেধ মেনে চলতে হয় দেশের সরকারকে ৷ তাই আমেরিকান কোম্পানিগুলিকে দেশের অভ্যন্তরের প্রয়োজনকে অগ্রাধিকার দিতে হয় ৷ তবু এর মধ্যেও ভারতের ওষুধের প্রয়োজনীয়তাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে ভেবে দেখবেন বলে কথা দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ৷
প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তো বটেই, বর্তমানে বাইডেনও যুদ্ধকালীন তৎপরতায়, ডিফেন্স প্রোডাকশন অ্যাক্ট (ডিপিএ) অনুযায়ী দেশে কোভিড-19 ভ্যাকসিন আর পার্সোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) উৎপাদনের হার বাড়াবার চেষ্টা করছেন ৷ কিন্তু এই অ্যাক্ট অনুযায়ী দেশের সমস্যা প্রতিরোধে সরকারকে দেশের প্রয়োজনীয়তাকেই গুরুত্ব দিতে হবে, তাতে অর্থনৈতিক ক্ষতি হলেও ৷
ক'দিন আগেই ভ্য়াকসিনের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামালের জোগানের আবেদন জানিয়ে মার্কিন সরকারকে একটি টুইট করেন সেরাম ইনস্টিটউটের সিইও আদার পুনাওয়ালা ৷ সেখানে তিনি লেখেন, "আমাদের যদি একসঙ্গে এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয়, তাহলে আমেরিকার বাইরের সমগ্র ভ্যাকসিন ইন্ডাস্ট্রির তরফ থেকে আমি অনুরোধ করছি প্রয়োজনীয় কাঁচামাল আমেরিকার বাইরে পাঠানোর ক্ষেত্র যে নিষেধাজ্ঞা আছে, তা তুলে নেওয়া হোক ৷ তাহলেই গতি আসবে ভ্যাকসিন উৎপাদনে ৷ আপনার প্রশাসনের কাছে এর বিস্তারিত তথ্য রয়েছে ৷"
সম্প্রতি, আমেরিকায় ভারতের অ্যাম্বাসাডর তরণজিৎ সিং সান্ধু বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন, সেখানে ভারতে দ্রুত ওষুধ পাঠানোর ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানানো হয়েছে ৷