রাষ্ট্রসংঘ, 13 ফেব্রুয়ারি :বয়স্ক একজন ব্যক্তি৷ সিরিয়াস৷ এটাই কি কোনও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের মাথায় বসার একমাত্র শর্ত! নাকি বয়স ও অভিজ্ঞতায় নবীন কেউ সেই দায়িত্ব নিতে পারেন! বড় আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের বৃদ্ধতন্ত্রে আনতে পারেন তারুণ্যের ছোঁয়া!
এই প্রশ্নগুলিই ক্রমশ বড় আকার নিতে চলেছে আগামিদিনে৷ কারণ, রাষ্ট্রসংঘের মহানির্দেশ পদের নির্বাচনে লড়তে চান 34 বছরের এক তরুণী৷ যিনি বর্তমানে রাষ্ট্রসংঘের অধীনেই একটি কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত৷ রাষ্ট্রসংঘের শীর্ষপদে লড়াই করার জন্য প্রচারও শুরু করে দিয়েছেন এই তরুণী৷
এতদিন রাষ্ট্রসংঘের মহানির্দেশক যাঁরা হয়েছেন তাঁদের কেউ মধ্য বয়সে পৌঁছে দায়িত্ব পেয়েছেন, কেউ আবার বার্ধক্যে৷ সাম্প্রতিক কালের কোফি আন্নান, বান-কি-মুন কিংবা বর্তমানের অ্যান্তেনিও গুতেরেস সকলকে দেখলেই কেমন একটা গুরুগম্ভীর বলে মনে হয়৷ সেই গুরুগম্ভীর পরিবেশে বিপ্লব ঘটাতে চলেছেন যিনি, তিনি কে?
ওই তরুণীর নাম আকাঙ্ক্ষা অরোরা৷ ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই মহিলা এখন ইউনাইটেড ন্যাশনস ডেভলপমেন্ট প্রোগ্রাম (ইউএনডিপি)-এর অডিট কোঅর্ডিনেটর৷ তিনি নিজের প্রচারের জন্য একটি আড়াই মিনিটের ভিডিও তৈরি করে ফেলেছেন৷ সেখানে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন যে তাঁর মতো কেউ কেন এই পদের জন্য লড়াই করতে পারবে না? কখন তাঁর সুযোগ আসবে, তার অপেক্ষায় কেন বসে থাকতে হবে? পৃথিবী যেমন চলছে, তেমন চলতেই থাকবে এটা মেনে নিয়ে কেন মাথা নিচু করে কাজ করতে হবে?