ওয়াশিংটন, 2 জুন: বিচার পাবে পুলিশ হেপাজতে মৃত কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েড ও তার পরিবার ৷ এই বিষয়ে তিনি ও তাঁর প্রশাসন প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ৷ মিনেপলিসে কৃষ্ণাঙ্গ যুবকের মৃত্যুর প্রতিবাদে উত্তাল পরিস্থিতির মধ্যে প্রতিশ্রুতি দিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৷
জর্জ ও তার পরিবার বিচার পাবে, দাবি ট্রাম্পের
ইতিমধ্যেই ওয়াশিংটন ও DC-তে 200 থেকে 250 সেনা মোতায়েন করা হয়েছে ৷ যদিও শুধুমাত্র মানুষকে সুরক্ষা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাদের ৷
তিনি বলেছেন, "জর্জ ফ্লয়েডের নিষ্ঠুর হত্যার প্রতিবাদে বিদ্রোহী হয়ে উঠেছে অ্যামেরিকানরা ৷ জর্জ ও তাঁর পরিবার যাতে সঠিক বিচার পায় সেই বিষয়ে আমার প্রশাসন প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ৷ প্রেসিডেন্ট হিসেবে অ্যামেরিকার মানুষ ও এই দেশকে রক্ষা করা আমার প্রথম কাজ ৷" এদিকে কৃষ্ণাঙ্গ হত্যা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে বিক্ষোভ অব্যাহত ৷ সোমবারও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাসভবন হোয়াইট হাউস ঘেরাও করে রেখেছিল আন্দোলনকারীরা ৷ তারপরই সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আন্ডারগ্রাউন্ড বাঙ্কারে কিছু সময়ের জন্য রাখা হয় । ওই বাঙ্কারে প্রায় এক ঘণ্টা মতো ছিলেন ট্রাম্প । আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস, রবার বুলেট ছোড়ে পুলিশ ৷
ওয়াশিংটন, নিউ ইয়র্ক, পোর্টল্যান্ড, লস অ্যাঞ্জেলস সহ বিভিন্ন জায়গায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে ৷ হিংসা না থামালে সেনা নামানোর হুমকি দেন ট্রাম্প ৷ তাঁর কথায়, "যদি কোনও শহর বা রাজ্য বাসিন্দাদের জীবন ও সম্পত্তি রক্ষার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে অস্বীকার করে তাহলে আমি সেনা মোতায়েন করব ৷ তারা খুব সহজেই সমস্যার সমাধান করে ফেলবে ৷" যদিও ইতিমধ্যেই ওয়াশিংটন ও DC-তে 200 থেকে 250 সেনা মোতায়েন করা হয়েছে ৷ শুধুমাত্র মানুষকে সুরক্ষা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাদের ৷ আন্দোলনকারীদের গ্রেপ্তার করার মতো কাজ করবে না সেনা, একথাও নিশ্চিত করা হয়েছে ।