নিউ ইয়র্ক , 15 অক্টোবর : ভারতের অর্থনৈতিক অবস্থা বেহাল ৷ দেশের সরকারও বিষয়টি বুঝতে পারছেন, আজ এমনটাই বললেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বন্দোপাধ্যায় ৷ তিনি আজ ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে (MIT) একটি সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, "আমার মনে হয় , ভারতের অর্থনীতি কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে ৷ "
তিনি আরও বলেন , "ভারতের অর্থনীতির ভবিষ্যৎ কী, সে বিষয়ে আমি কোনও মন্তব্য করব না ৷ কিন্তু ভারতের বর্তমান অর্থনীতি যে দুর্বল তা স্পষ্ট ৷ "
এই সংক্রান্ত আরও খবর : ফের নোবেল বাঙালির হাতে, এবার অভিজিৎ ব্যানার্জি
ভারতের শহর ও গ্রামাঞ্চলের গড় খরচের জাতীয় সমীক্ষার কথা উল্লেখ করেন তিনি ৷ প্রতি দেড় বছর অন্তর এই সমীক্ষা হয় ৷ বলেন, "এই পরিসংখ্যানে স্পষ্ট যে 2014-15 সাল থেকে 2017-2018 সালের খরচের পরিমাণ কমেছে । বহু বছর পর এটি ঘটছে, যা যথেষ্ট চিন্তার । দেশ জুড়ে অর্থনৈতিক মন্দা তৈরি হচ্ছে ৷ কেন্দ্র এই বিষয়ে ওয়াকিবহাল ৷ "
তাঁর কথায়, ''কেন্দ্রীয় সরকার দেশে একটি অর্থনৈতিক ঘাটতি তৈরি করেছে ৷ সেটি সামাল দেওয়ার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ করা হচ্ছে ৷ বাজেটের লক্ষ্যমাত্রা এবং আর্থিক লক্ষ্যমাত্রা ধরে রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার , এটিই প্রমাণ করার চেষ্টা চলছে ৷ দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে ৷ আর্থিক চাহিদাই দেশের অর্থনীতির এখন সবচেয়ে বড় সমস্যা ৷''
এই সংক্রান্ত আরও খবর : যোগ্যতম ব্যক্তিরাই নোবেল পেয়েছে : অমর্ত্য সেন
এস্থার ডুফলো এবং মাইকেল ক্রেমারের সঙ্গে যৌথভাবে অর্থনীতিতে নোবেল জেতেন অভিজিৎ বন্দোপাধ্যায় ৷ বিশ্বজুড়ে দারিদ্র্য দূরীকরণ সংক্রান্ত কাজের জন্যই তাঁকে এই সম্মান দেওয়া হয় ৷ 2007 সালে তাঁর একটি বই (মেকিং এড ওয়ার্ক) প্রকাশিত হয় ৷ 2011 সালে ডুফলোর সঙ্গে "পুয়োর ইকোনমিকস" বইটি লেখেন তিনি ৷ 2017 সালে সঙ্গে তাঁর আরও একটি বই প্রকাশিত হয় ৷ চলতি বছরই তাঁর আরও একটি বই প্রকাশিত হয় ৷ সহ-লেখক ছিলেন রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজনের সঙ্গে রাষ্ট্রসংঘেও কাজ করেছেন অভিজিৎ ৷ 2015 সালের পরবর্তী ডেভেলপমেন্ট অ্যাজেন্ডা কর্মসূচিতে রাষ্ট্রসংঘের সেক্রেটারি জেনেরালের উচ্চপর্যায়ের বিভাগেও কর্মরত ছিলেন তিনি ৷ এবার নোবেল সম্মান পেলেন তিনি ৷