ওয়াশিংটন, 26 মার্চ : কোরোনা সংক্রমণ রুখতে বিশ্বের বহু দেশ লকডাউনের পথে হেঁটেছে ৷ তারপরও বেড়েই চলেছে কোরোনা আক্রান্তদের মৃত্যুর সংখ্যা ৷ কোরোনা ভাইরাসের প্রভাব কতটা ভয়ঙ্কর, তার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে প্রতিনিয়ত ৷ গতবছর ডিসেম্বর মাসের শেষের দিকে চিন দেশ থেকে শুরু হয় কোরোনার সংক্রমণ ৷ তারপর কেটে গেছে তিনমাস ৷ এই তিনমাসে সংক্রমণ কমেনি ৷ বরং বেড়েছে ৷ মৃত্যু হয়েছে 20 হাজারেরও বেশি মানুষের ৷ গৃহবন্দী প্রায় 300 কোটি নাগরিক ৷
বিশ্বজুড়ে কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে চার লাখ 50 হাজার ৷ এই পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রসংঘের সেক্রেটারি জেনেরাল আন্তোনিও গ্যাতেরাস বলেন, একমাত্র বিশ্বের মিলিত প্রচেষ্টাই কোরোনা সংক্রমণ রুখতে পারে ৷
চিনে ক্রমশ প্রত্যাহার করা হচ্ছে লকডাউন ৷ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে ৷ তথ্য বলছে, কোরোনার সংক্রমণ কমে আসছে চিনে ৷ তবে স্পেন, ইট্যালি, অ্যামেরিকায় ব্যাপকভাবে বাড়ছে সংক্রমণ ৷ গতকাল স্পেনে মৃত্যু হয়েছে 656 জনের ৷ মৃত্যুর তালিকায় এখনও প্রথমে ইট্যালি ৷ কাল সে'দেশে নতুন করে 683 জন মারা যান ৷ মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল 7503 ৷ একটি সংবাদসংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, 182টি দেশ মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত 20 হাজার 800 জনের মৃত্যু হয়েছে ৷
অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ওয়াশিংটনে এক বিবৃতিতে জানান, কোরোনা ভাইরাসে সবচেয়ে প্রভাবিত হয়েছে নিউইয়র্ক ৷ সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা 30 হাজারেরও বেশি ৷ তিনি বলেন, আপাতত কয়েক সপ্তাহ কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে গেলেও শীঘ্রই আমরা সিদ্ধান্ত নেব, কোরোনায় দেশের যে অংশগুলি প্রভাবিত হয়নি, সেখানে ফের সুস্থ জনজীবন চালু করা যায় কি না ৷ তাঁর কথায় ‘‘আমি চাই দেশ আবার সচল হোক ৷ তবে কোনও হটকারি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না ৷’’
অত্যাবশ্যক পণ্য কিনতে পথে বেরিয়েছেন ইট্যালিবাসী রাষ্ট্রসংঘের প্রধান আন্তোনিও গ্যাতেরাস বলেন, ‘‘COVID-19 মানবজাতির পক্ষে প্রাণঘাতী হুমকিতে পরিণত হয়েছে ৷ সকলকে মিলিত হয়ে এর বিরুদ্ধে লড়তে হবে ৷ একক কোনও দেশের পদক্ষেপে কোনও বিশেষ পরিবর্তন হবে না ৷ বিভেদ ভুলে সবাইকে একত্রিত হয়ে লড়তে হবে ৷’’
রাশিয়ায় কাল নতুন করে দুইজন কোরোনা আক্রান্তের মৃত্যুর পর প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আগামী সপ্তাহজুড়ে ছুটির ঘোষণা করেন এবং বিতর্কিত সংবিধান সংশোধনের জন্য যে গণভোট হওয়ার কথা ছিল, তা পিছিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান ৷
শুধু ইউরোপ নয়, মধ্যপ্রাচ্যেও কোরোনার প্রভাব প্রকট হচ্ছে ধীরে ধীরে ৷ ইরানে কোরোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে দুই হাজার ৷ ইজ়রায়েল সরকারের তরফেও একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে ৷