ওয়াশিংটন, 8 নভেম্বর: মহামারীর সঙ্গে লড়াইয়ে কেটে গিয়েছে দেড় বছরেরও বেশি সময় । এত দিনে মেক্সিকো, কানাডা-সহ ইউরোপের অধিকাংশ দেশের উপর থেকে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুল নিল আমেরিকা । এর ফলে দীর্ঘ দিন পর জীবন ফিরে পেতে চলেছে উড়ান সংস্থাগুলি । একই সঙ্গে দীর্ঘ সময় পর বহু মানুষ প্রিয়জনের কাছে পৌঁছতে পারবেন । তবে এ ক্ষেত্রে যাত্রীদের সম্পূর্ণ টিকাকরণ বাধ্যতামূলক ।
সোমবার থেকেই টিকাকরণ সম্পূর্ণ হয়ে যাওয়া যাত্রীদের জন্য বিমানবন্দর এবং দেশের সীমান্ত খুলে দিয়েছে আমেরিকা । টিকাকরণের শংসাপত্র এবং কোভিড পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ হলেই আমেরিকায় প্রবেশে বাধা থাকছে না । সড়কপথে কানাডা এবং মেক্সিকো থেকে আসা মানুষজন বাড়তি সুবিধা পাচ্ছেন । শুধু টিকাকরণের শংসাপত্র দেখিয়েই আমেরিকায় প্রবেশের ছাড়পত্র পেয়ে যাচ্ছেন তাঁরা ।
আরও পড়ুন:Rahul Gandhi: ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ অগুস্তার সঙ্গেই লেনদেন কেন্দ্রের, মোদি সরকারকে একহাত কংগ্রেসের
বিমানযাত্রীদের ক্ষেত্রে ঝক্কি অনেকটাই বেশি । নির্দেশ অনুযায়ী, প্রত্যেক যাত্রীর টিকাকরণের শংসাপত্র তাঁর পরিচয়পত্রের সঙ্গে মিলিয়ে দেখতে হবে । তাতে গরমিল পাওয়া গেলে, প্রত্যেক ভুল তথ্যের জন্য 35 হাজার ডলার জরিমানা করা হবে ওই যাত্রীকে, ভারতীয় মুদ্রায় যা 25 লক্ষ টাকা । সংশ্লিষ্ট যাত্রী কার কার সংস্পর্শে এসেছেন, তারও রেকর্ড রাখতে হবে উড়ান সংস্থাকে ।
উন্নত এবং আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও, করোনার প্রকোপে একটা সময় আমেরিকা কার্যত ধুঁকছিল । বিপদ টের পেয়েও আগে ভাগে বিদেশিদের আগমনে লাগাম না টানাতেই বিপর্যয় নেমে আসে বলে অভিযোগ ওঠে তৎকালীন ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকারের বিরুদ্ধে । তার পর বিগত দেড় বছর পড়শি কানাডা এবং মেক্সিকো-সহ ইউরোপের একাধিক দেশের উপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ছিল । পরিস্থিতি কিছুটা শোধরানোয় এত দিনে সেই নিষেধাজ্ঞা উঠল ।
আরও পড়ুন:Rafale Controversy : মধ্যস্থতাকারীকে 75 লক্ষ ইউরো দাসোঁর, রাফাল বিতর্কে নয়া দাবি ফরাসি পত্রিকার