ওয়াশিংটন, 5 জানুয়ারি : অ্যামেরিকার হিটলিস্টে রয়েছে ইরানের 52টি এলাকা ৷ ইরান যদি অ্যামেরিকার কোনও দপ্তর বা কোনও আধিকারিকের উপর হামলা করে তাহলে চরম সংকটে পড়তে হতে পারে তাদেরকে ৷ তেহরানকে এভাবেই হুঁশিয়ারি দিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ৷
গতরাতের ওই টুইটে 3 জানুয়ারির ড্রোন হামলায় ইরানের কমান্ডার কাসেম সোলেইমানির হত্যাকে ঘিরে যে অশান্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে, সেই নিয়েই সতর্ক করে দিলেন ট্রাম্প ৷ 1979 সালে তেহরানের অ্যামেরিকান দূতাবাসের 52 জন আধিকারিককে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বন্দি করে রাখা হয়েছিল ৷ অ্যামেরিকার হিটলিস্টের ওই 52 টি ইরানি ঘাঁটি 1979 সালের সেই ঘটনারই যোগ্য জবাব বলে মনে করছেন ট্রাম্প ৷
ওই টুইটে তিনি লেখেন, " ইরানের জঙ্গি নেতা নিধনের পর থেকে অ্যামেরিকার দূতাবাস ও সম্পত্তি নষ্ট করার কথা বলছে ইরান ৷ নিহত ওই জঙ্গি নেতা ইতিমধ্যেই আমাদের দূতাবাসে হামলা করেছে ৷ আরও অনেক জায়গায় হামলার পরিকল্পনা করছিল সে ৷ এটা (ড্রোন হামলার ঘটনা) ইরানের জন্য একটা সতর্কবার্তা ছিল ৷ আমাদের নজরে ইরানের 52টি এলাকা (বেশ কিছু বছর আগে 52 জন অ্যামেরিকানকে বন্দী করে রেখেছিল ইরান) আছে ৷ এর মধ্যে বেশ কিছু এলাকা ইরানের ও তার সংস্কৃতির জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ ৷ যদি ফের অ্যামেরিকার কোনও দপ্তর বা কোনও আধিকারিকের উপর হামলার ঘটনা ঘটে তাহলে খুব শীঘ্রই হামলা হবে ওই এলাকাগুলিতে ৷"
আরও পড়ুন : অ্যামেরিকার মৃত্যু হোক, সোলেইমানির শেষযাত্রায় প্রতিশোধের স্লোগান
প্রসঙ্গত অ্যামেরিকার ড্রোন হামলায় ইরানের কমান্ডার কাসেম সোলেইমানি মারা যাওয়ার পর থেকেই বেশ কিছু জায়গা থেকে হামলার খবর সামনে এসেছে ৷ প্রথম খবর আসে বাগদাদ থেকে ৷ গতকাল বাগদাদে অ্যামেরিকান দূতাবাসের কাছেই দু'রাউন্ড মর্টার হামলা হয় ৷ এর প্রায় পরে পরেই আল বালাদ বায়ুসেনা ঘাঁটিতে দু'টি রকেট হামলার খবর পাওয়া যায় ৷ ওই ঘাঁটিতে তখন অ্যামেরিকান জওয়ানরা মোতায়েন ছিল ৷ দু'টি জায়গাতেই হামলার খবর নিশ্চিত করেছে ইরাকি সেনা ৷ তবে কোনও প্রাণহানির হয়নি বলে জানিয়েছে তেহরান ৷ অ্যামেরিকান সেনার তরফেও কোনও জওয়ানের প্রাণহানি হয়নি বলে জানানো হয়েছে ৷