নয়াদিল্লি, 9 মে : করোনা নিয়ে যত গবেষণা হচ্ছে, ততই সামনে আসছে একের পর এক ভয়ঙ্কর তথ্য ৷ গত শুক্রবার এমনই এক তথ্য প্রকাশ্যে এনেছে ‘ইউএস সেন্টার ফর ডিসিজ কন্ট্রোল অ্য়ান্ড প্রিভেনশন’ ৷ তাদের দাবি, শ্বাস-প্রশ্বাসের সময় অতি সূক্ষভাবে বাতাসে পরিবাহিত হয়ে শরীরে প্রবেশ করছে সার্স-কোভ-2 ভাইরাস ৷ যার জেরে কোভিড-19-এ আক্রান্ত হচ্ছে অসংখ্য মানুষ ৷ উল্লেখ্য, মাসখানেক আগে এমন একটা বার্তাই দিয়েছিল বিশ্ববিখ্যাত মেডিক্য়াল জার্নাল ‘দ্য় ল্য়ানসেট’ ৷ তাদের দাবি ছিল, করোনার ভাইরাস বাতাসে পরিবাহিত হতে সক্ষম ৷ যা উদ্বেগ বাড়িয়ে ছিল গোটা পৃথিবীর ৷ আর এবার তা আরও বাড়িয়ে দিল মার্কিন চিকিৎসা সংস্থা ৷
ইউএস সেন্টার ফর ডিসিজ কন্ট্রোল অ্য়ান্ড প্রিভেনশন তাদের গবেষণায় জানতে পেরেছে, তিন থেকে ছয় ফুটের মধ্যেই বায়ুবাহিত করোনা ভাইরাস সবথেকে শক্তিশালী থাকে ৷ কারণ এই দূরত্বের মধ্যে আক্রান্ত ব্য়ক্তির ড্রপলেট অন্য জনের শরীরে অনায়াসে ঢুকে গিয়ে ভাইরাসে বংশবিস্তারে সক্ষম হয় ৷ তবে এই ড্রপলেটের আকার অত্যন্ত সূক্ষ ৷ তাই বাতাসে ভেসে বেড়াতে কোনও সমস্য়াই হয় না ৷
বিজ্ঞানীরা এখন করোনায় আক্রান্ত হওয়ার প্রক্রিয়াকেও বেশ কয়েকটি ভাগে ভাগ করেছেন ৷ তাঁরা বলছেন, আক্রান্ত ব্য়ক্তি লালা বা শ্লেষ্মা থেকে তাঁর সংস্পর্শে আসা অন্যরাও আক্রান্ত হতে পারেন ৷ দেহের কোনও অংশে আক্রান্তের লালা বা শ্লেষ্মা লেগে গেলে, তা কোনও ভাবে মুখ, চোখ দিয়ে শরীরে প্রবেশ করতে পারে ৷ অথবা স্রেফ শ্বাস-প্রশ্বাস চালানোর সময়েই ভাইরাস ঢুকতে পারে নতুন কারও শরীরে ৷