লস অ্যাঞ্জেলস,30 অগস্ট: প্রয়াত পপস্টার মাইকেল জ্যাকসন সারাজীবনই একটি বিতর্কিত জীবন বেছে নিয়েছিলেন ৷ সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া একটি তথ্যচিত্র বলছে ড্রাগ কেনার জন্য তিনি নাকি 19টি জাল আইডি ব্যবহার করেছিলেন ! জ্যাকসনের চিকিৎসক কনরাড মারের দেওয়া একটি ওষুধ (অ্যানেস্থেটিক প্রোপোফোলের) নেওয়ার পরই কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে আক্রান্ত হন 50 বছর বয়সি এই পপস্টার ৷ এরপর লস অ্যাঞ্জেলেসের বাড়ি থেকে তাঁকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পাওয়া যায় (Death of Michael Jackson) ৷
2009 সালের জুন মাসে ঘটে যাওয়া রহস্য়ময় এই মৃত্যুকে শেষপর্যন্ত একটি হত্যাকাণ্ড বলেই রায় দেওয়া হয় ৷ সমস্ত দোষ মারের ওপরেই পড়ে । তাঁকে অনিচ্ছাকৃত হত্যাকাণ্ডের জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল ৷ চার বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছিলেন এই চিকিৎসক ৷ জনগণের সব রোষ মারের ওপর পড়েছিল ঠিকই কিন্তু জ্যাকসন তাঁর জীবনের বেশিরভাগ সময় জুড়েই ভয়ঙ্কর মাত্রায় ওষুধের অপব্যবহার করেছেন ৷ নতুন ডকুমেন্টারি 'টিএমজেড ইনভেস্টিগেটস: হু রিয়েলি কিলড মাইকেল জ্যাকসন' আগামী মাসে ফক্স-এ মুক্তি পেতে চলেছে ।
জ্যাকসনের মৃত্যুর তদন্তের জন্য নিযুক্ত এলএপিডি গোয়েন্দা অরল্যান্ডো মার্টিনেজ ডকুমেন্টারিতে বলেন, "যখন জ্যাকসন মারা যান তখন ডা: মারে তাঁর বিছানার পাশে ছিলেন । এই কেসটা তার চেয়েও অনেক বেশি জটিল ৷ পরিস্থিতি বছরের পর বছর ধরে তাঁকে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যাচ্ছিল ৷ আর এই সমস্ত বিভিন্ন চিকিৎসকরা মাইকেলকে তাঁর নিজের মত শর্তে চলতে দিয়েছেন, তিনি যে ওষুধ চেয়েছেন, যখন চেয়েছেন তা তাঁকে দেওয়া হয়েছে এইসবই আজ তাঁর মৃত্যুর কারণ।"
কাউন্টির সহকারী প্রধান করোনার এড উইন্টারের মতে, জ্যাকসন তাঁর মৃত্যুর আগে গ্যাটোরেড-সাইজের বোতলগুলিতে প্রোপোফল নিত । চিকিৎসকরা বিভিন্ন উপায়ে, এ ধরণের পদার্থের প্রতি তাঁর আসক্তিকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল ৷ মারে জানিয়েছেন, প্রোপোফোল ছিল এক বিশেষ ওষুধ, যাতে তিনি ঘুমাতে পারেন ৷ বিশেষ করে যখন তিনি সফরের জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলেন ।" মারে এও জানান, তাঁর কাছে এটা খুব বড় ব্যাপার ছিল না ৷ তিনি কয়েক দশক ধরে এই ওষুধ ব্যবহার করে আসছেন ৷ সারা বিশ্ব থেকে বিভিন্ন ডাক্তাররা তাঁকে এটি দিয়েছিলেন এবং তারা তাঁকে মাঝে মাঝে এই ইনজেকশন(প্রোপোফল) দেওয়ার অনুমতি দিয়েছিল ৷"