রানিগঞ্জ, 12 সেপ্টেম্বর: 1989 সালের 13 নভেম্বর আসানসোলের রানিগঞ্জের কয়লাখলিতে ঘটে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ৷ খনির ভিতরে আটকে পড়া 65 জন শ্রমিককে উদ্ধার করেছিলেন সাহসী ইঞ্জিনিয়র যশবন্ত সিং গিল ৷ আটকে পড়ে শ্রমিকদের কাছে যশবন্ত হয়ে উঠেছিলেন ত্রাতা ৷ বাস্তব জীবনের সেই ঘটনা এবার ছবির পর্দায় ৷ মিশন রানিগঞ্জ, নেপথ্যে টিনু সুরেশ দেশাই ৷ ছবির মাধ্যমে একজন রিয়েল হিরোর জীবনী তুলে ধরা হয়েছে এর আগেও ৷ তবে খনিতে দুর্ঘটনার পর পর থেকে বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে মহাবীর কোলিয়ারি খনি ৷ কাজ হারিয়েছেন অসংখ্য শ্রমিক ৷ সেই খনি এবার খুলে দেওয়ার দাবি তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দা থেকে খনির কর্মীরা ৷
স্থানীয় বাসিন্দা নিরাজ কুমার সিং বলেন, "কী কর্মব্যস্ত সময় ছিল সেই সময় মহাবীর খনিতে। এলাকার আর্থ-সামাজিক চেহারাই ছিল অন্যরকম। কিন্তু সেই ঘটনার পর মহাবীর খনি বন্ধ হয়ে যায়। আমাদের বিশ্বাস এই খনিতে এখনও প্রায় ১০০ বছরের কয়লা রয়েছে। সিনেমা তৈরির পাশাপাশি যদি এই খনিকে পুনরায় চালু করা যায় তাহলে এই সিনেমা তৈরি করা সার্থক হবে।"
বন্ধ মহাবীর খনির প্রাক্তন কর্মী নিত্যগোপাল মাজি বলেন, "আমরা সবাই চাই এই খনি আবার চালু হোক। খনিতে কয়লা রয়েছে। তাই খনি চালু হলে ইসিএল যেমন লাভান্বিত হবে তেমনি এলাকার আর্থ-সামাজিক অবস্থারও উন্নতি হবে।" ইসিএলের কুনুস্তরিয়া এরিয়ার জিএম অনিল কুমার সিনহা অবশ্য আশার কথা শুনিয়েছেন। অনিল কুমার সিনহা জানিয়েছেন "আমরা ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছি। বর্তমানে অনেক আধুনিক পদ্ধতি এসেছে কয়লা উত্তোলন করার। ইতিমধ্যেই সিএমপিডিআই বিষয়টি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেছে। খুব দ্রুত আমরা ওখানে উৎপাদন শুরু করতে পারব বলে আশা করছি।" ইসিএল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওয়াল প্রজেক্ট-এর মাধ্যমে কয়লা উৎপাদন হতে পারে আবার মহাবীর খনিতে।