পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / entertainment

Bhaswar Chatterjee: কাকে গুরু মানেন ভাস্বর চট্টোপাধ্যায় ? গুরুপূর্ণিমায় জানালেন অভিনেতা - কাকে গুরু মানেন ভাস্বর চট্টোপাধ্যায় গুরুপূর্ণিমায় জানালেন অভিনেতা

বাংলা টেলিভিশনের পর্দায় একাধিকবার যুগপুরুষের চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেতা ভাস্বর চট্টোপাধ্যায় (Bhaswar Chatterjee on His Mentor)। গুরুপূর্নিমায় তিনি জানলেন বাবা-মা'র পর তাঁর গুরু হলেন দক্ষিণী অভিনেতা মহেশবাবু ৷

Bhaswar Chatterjee
কাকে গুরু মানেন ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়? গুরুপূর্ণিমায় জানালেন অভিনেতা

By

Published : Jul 13, 2022, 9:54 PM IST

কলকাতা, 13 জুলাই: আজ গুরুপূর্ণিমা । সনাতন হিন্দু ধর্মীয় ঐতিহ্য অনুসারে শিবের রূপে জগতের সমস্ত আচার্যদের এদিন 'গুরু' রূপে পুজো করা হয় । ইতিহাস বলে, এই দিন 'মহাভারত' রচয়িতা মহর্ষি বেদব্যাস জন্মগ্রহণ করেছিলেন মুনি পরাশর এবং মাতা সত্যবতীর ঘরে । সেই কারণে এই দিনটিকে 'ব্যাস পূর্ণিমা'-ও বলা হয়ে থাকে । প্রত্যেকটি মানুষেরই জীবনে একজন গুরু থাকেন । তা তিনি কোনও যুগপুরুষই হন বা শিক্ষা কিংবা কর্মক্ষেত্রের কোনও মানুষ ।

বাংলা টেলিভিশনের পর্দায় একাধিকবার যুগপুরুষের চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেতা ভাস্বর চট্টোপাধ্যায় (Bhaswar Chatterjee on His Mentor)। কখনও সাঁইবাবার চরিত্রে তো কখনও বাবা লোকনাথের চরিত্রে । চরিত্রের দৌলতে তিনিও গুরু হয়েছেন অনেকের । তাই তাঁর জীবনে গুরু কে তা জানতে চাওয়া হয় ইটিভি ভারতের তরফে । ভাস্বর বলেন, "আজ গুরুপূর্ণিমা । আর গুরুর কথা বলতে গেলে সবার আগে নিজের বাবা-মায়ের কথাই মনে পড়ে । পৃথিবীর প্রত্যেকটা মানুষ নিজের বাবা-মায়ের কাছ থেকেই প্রথম শিক্ষাটা পায় । আমার বাবা-মা সবসময়ই চেয়ে এসেছেন আমি যেটাই করি না কেন তা যেন সৎ পথে থেকে করি । তাই চাকরি ছেড়ে যখন অভিনয়ে আসি তখনও বাধা পাইনি তাঁদের কাছ থেকে । নিজের মন যেটা চায় সেটাই ওঁরা আমাকে করতে বলেছেন সবসময় ।

গুরুপূর্নিমায় তিনি জানলেন বাবা মার পর তাঁর গুরু হলেন দক্ষিণী অভিনেতা মহেশবাবু

তবে তিনি জানিয়েছেন বাবা মায়ের পরে তাঁর গুরু তিনি মানেন মহেশবাবুকে ৷ তিনি বলেন,"এ ছাড়া বাবা-মায়ের পর কেউ যদি আমার গুরু হয়ে থাকেন তিনি হলেন প্রখ্যাত অভিনেতা মহেশ বাবু । অভিনয় শুধু নয়, সবদিক থেকেই উনি একজন পারফেক্ট মানুষ । এই যে আমার এন জি ও করা, সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করা সবই ওঁর অনুপ্রেরণাতে । মহেশ বাবু অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানাতে অনেক সেবামূলক কাজ করেন । বাচ্চাদের পড়াশুনা-সহ অন্যান্য সাহায্যও করেন তিনি । প্রচুর হার্ট ট্রান্সপ্লান্ট করিয়েছেন মহেশ বাবু । কোভিডের সময়ে ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্প করেছেন । তেলেঙ্গানার দুটি গ্রামের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন তিনি । ওঁর কাজ আমায় অনুপ্রেরণা দেয় । তিন অনাথ কাশ্মীরি শিশুর দায়িত্ব নিয়েছি আমি । সেটারও অনুপ্রেরণা ওই মানুষটি । শিক্ষাদান মহৎ দান । এর থেকে বড় কোনও দান হয় না ।"

আরও পড়ুন:গুরুপূর্নিমায় তিনি জানলেন বাবা মার পর তাঁর গুরু হলেন দক্ষিণী অভিনেতা মহেশবাবু

এই প্রসঙ্গে অভিনেতা আরও জানান, "একবার রামোজি ফিল্ম সিটিতে গিয়েছি 2000 কি 2001 সালে । একটু দূরেই মহেশ বাবু বসেছিলেন । সেদিন আমি ওঁকে নিয়ে বিশেষ কিছু জানতাম না । তখন উনি আজকের মতো স্টার হননি । আমিও এত ফ্যান ছিলাম না ওঁর । আজ আফসোস হয় । আমি তেলুগু ছবি দেখতে ভালোবাসি । তেলুগু ভাষা শেখার কারণও উনিই । মহেশ বাবুর ছবি দেখব বলেই তেলুগু শিখেছি আমি । তাই এই মানুষটিকে আমি গুরু মানি । ওঁর অভিনয়শৈলী যেমন আমায় মুগ্ধ করে, তেমনি ওঁর মানুষের প্রতি ভালোবাসা, মমত্ববোধ আমায় মানুষের জন্য কাজ করার প্রেরণা জোগায় ।"

ABOUT THE AUTHOR

...view details