হায়দরাবাদ, 17 অক্টোবর: কখনও তিনি দেব আনন্দের মিস নলিনী, আবার তিনি কখনও রাজ কাপুরের হীরাবাঈ ৷ কখনও তিনি পর্দায় দিলীপ কুমারের অঞ্জনা আবার কখনও রাজেশ খান্নার নার্স রাধা, বিগত সাত দশক ধরে বিনোদন দুনিয়ায় যিনি রাজ করে গিয়েছেন তিনি অভিনেত্রী ওয়াহিদা রহমান ৷ কাজের স্বীকৃতি হিসাবে তাঁর ঝুলিতে রয়েছে একাধিক সম্মান ৷ এবার তিনি সম্মানিত হলেন দাদাসাহেব ফালকে সম্মানে ৷ নাম ঘোষণা আগেই হয়েছিল, মঙ্গলবার নয়াদিল্লির বিজ্ঞান ভবনে 85 বছরের প্রবীণ অভিনেত্রী ওয়াহিদা রহমানের হাতে তুলে দেওয়া হয় বিশেষ এই সম্মান ৷
1955 সালে রহমান সিনেমা জগতে যাত্রা শুরু করেছিলেন তেলুগু ছবি 'রজুলু মারায়ি' ছবির হাত ধরে ৷ এরপর বলিউড ইন্ডাষ্ট্রিতে তিনি পরিচালক-অভিনেতা গুরুদত্তের সান্নিধ্যে আসেন ৷ দর্শকদের উপহার দেন একের পর এক হিট ছবি ৷ 1957 সালে 'প্যায়াসা', 1959 সালে 'কাগজ কে ফুল', 1960 সালে মিউজিক্যাল রোমান্টিক ছবি 'চৌধভি কা চাঁদ', 1962 সালে 'সাহেব বিবি অউর গুলাম' ছবি ওয়াহিদা রহমানকে নিয়ে যায় জনপ্রিয়তার শিখরে ৷ এরপর 1965 সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি 'গাইড' অভিনেত্রীর ঝুলিতে এনে দেয় সেরা অভিনেত্রী হিসাবে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার ৷
মজার বিষয় হল, যিনি সিনে দুনিয়ায় অমর ছাপ রেখেছেন তিনি আসলে হতে চেয়েছিলেন একজন চিকিৎসক ৷ কারণ ওয়াহিদার পরিবারের তাঁকে নিয়ে এরকমই কিছু ইচ্ছে ছিল ৷ কিন্তু তিনি ভালোবাসতেন শিল্প, সংস্কৃতি ও নাচ ৷ ধীরে ধীরে তা প্যাশনে পরিণত হয় অভিনেত্রীর ৷ এরপর আইএএস অফিসার বাবার সাহায্যে তিনি এগোতে থাকেন তাঁর স্বপ্নের দিকে ৷ ভারতনাট্যম শিখতে শুরু করেন অভিনেত্রী ৷ এরপর 1955 সালে প্রথম পা রাখেন ছবির জগতে ৷ হায়দরাবাদে অভিনেতা গুরু দত্তের সঙ্গে সাক্ষাৎ ঘুরিয়ে দেয় ওয়াহিদার ভাগ্যের চাকা ৷