কলকাতা, 29 জুলাই: এ বার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে পাহাড়-প্রমাণ টাকা উদ্ধার নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রী অপর্ণা সেন (Aparna Sen on Money recovery)৷ তিনি তীব্র আক্রমণ শানালেন রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে ৷ টুইটে অপর্ণা সেন (Aparna Sen) লিখেছেন, পার্থকে সরিয়ে মুখরক্ষার চেষ্টা করছে তৃণমূল ৷
শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি কাণ্ডে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) গ্রেফতারি, কোটি কোটি টাকা, গয়না উদ্ধার - এ সব নিয়ে সপ্তাহখানেক ধরেই তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি ৷ তবে এই নিয়ে বুদ্ধিজীবী মহলকে খুব বেশি প্রতিক্রিয়া দিতে দেখা যায়নি ৷ তবে এ বার নীরবতা ভাঙলেন প্রবীণ অভিনেত্রী অপর্ণা সেন ৷
আরও পড়ুন:পার্থ-কাণ্ডে বুদ্ধিজীবীদের নীরবতাকে ব্যঙ্গ করে নয়া কবিতা রুদ্রনীলের
বৃহস্পতিবার রাতে শাসক দলকে নিশানা করে টুইট করলেন তিনি ৷ অপর্ণা লিখেছেন, "রাজ্যের তৎকালীন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের থেকে যে 50 কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে তা পশ্চিমবঙ্গের দরিদ্রদের শোষণ করেই অর্জিত, এটা ভুলে গেলে চলবে না ৷ মন্ত্রিসভা থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সরিয়ে মুখরক্ষার চেষ্টা করেছে তৃণমূল । তবে এ ভাবে সব ধোয়া যাবে না । যাঁদের লুঠ করে এই টাকা জমানো হয়েছে তাঁদের উপকারের জন্যই তা ব্যয় করা উচিত ।"
এ বিষয়ে অপর্ণা সেনের এমন মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল ৷ বুদ্ধিজীবী মহল অধিকাংশ ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের বিরোধিতা থেকে নিজেদের বিরত রাখে, এই অভিযোগ তুলে বারবার সরব হতে দেখা গিয়েছে বিরোধীদের ৷ পার্থ প্রসঙ্গেও বিদ্বজনেদের নীরবতাকে বিঁধে নতুন কবিতা পোস্ট করেছেন অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ ৷ এই অবস্থায় কোনও রাখঢাক না করে সরকারকে বিঁধে অপর্ণা সেনের মন্তব্যের পর অন্যান্য বুদ্ধিজীবীরা কী অবস্থান নেন, সে দিকেই তাকিয়ে বঙ্গবাসী ৷
যদিও এ নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম মুখপাত্র শান্তনু সেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস দুর্নীতিকে আড়াল করার চেষ্টা করছে না । বরং বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, দুর্নীতিতে যাঁরা যুক্ত বা যাঁরা কোনও অনৈতিক কাজ করছেন, তাঁদের দায় নেবে না দল । তৃণমূল কংগ্রেস মানুষের দল, সে কারণেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে । তিনি এই বিশিষ্ট অভিনেত্রীর বক্তব্যের কোনও বিরোধিতা না করলেও, তাঁর সাফ কথা, মানুষ সব দেখছে । গণতন্ত্রে মানুষই শেষ কথা বলে ।