কলকাতা, 17 জুন :সময়টা বড়ই আধুনিক । যোগাযোগ ব্যবস্থাতেও তার প্রভাব যথেষ্টই পড়েছে । সেই রানারের চিঠি বিলির দিন আজ আর প্রায় নেই বললেই চলে ৷ হয়ত কোনও সরকারি কাজ না-হলে খুব প্রয়োজন ছাড়া চিঠি-চাপাটির দিন আজ অনেকটাই সেকেলে । আধুনিকতার ছোঁয়ায় ইউটিউবে আজ মানুষ ব্লগ দেখেন, ইমেল, হোয়াস্টঅ্যাপে মনের কথা, কাজের কথা আদান প্রদান করেন ।
তবে একটা সময় ছিল যখন চিঠিই ছিল যোগাযোগের মাধ্যম । প্রিয়জনের চিঠির আসলে আনন্দে অনেকেই গুনগুন করে উঠতেন "চিঠঠি আয়ি হ্য়ায়, আয়ি হ্যায়..." ৷ যেহেতু মানুষের প্রয়োজনের মাধ্যম ছিল চিঠিপত্র তাই অনেক সচেতনতা সংক্রান্ত বিষয়ও পোস্টকার্ডে ছাপা হত । দেওয়া হতো নানা রকমের বিজ্ঞাপন । সেই দিন কই আজ ?...একটা সময় পোলিও দূরীকরণ কর্মসূচির বিজ্ঞাপন বেশ চোখে পড়ত । থাকত সিনেমার বিজ্ঞাপন এবং নানা রকম বাণিজ্যিক দ্রব্যের বিজ্ঞাপনও । ডাক বিভাগের এটা ছিল আয়ের একটি সূত্র ।
সেই দিন অতীত হলেও এই প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের কাছে পোস্টকার্ডের মধ্যমে সেই চিঠি পাঠানোর নস্টালজিয়াকে উস্কে দিল 'সেরাম থ্যালাসেমিয়া প্রিভেনশন ফেডারেশন' । এ বছর এই সংস্থা পোস্টকার্ড মারফত জনসংযোগের কাজে শামিল হল (Post Card on World Music Day) ৷ পোস্টকার্ড পাঠাল বিভিন্ন ক্লাব, সামাজিক সংস্থার কর্মী-সদস্যদের । উদ্যেশ্য একটাই, থ্যালাসেমিয়া বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি । তবে পন্থা একটু অন্যরকম ।