কলকাতা, 11 জানুয়ারি:সামনেই 26 জানুয়ারি । আর তার আগেই বাংলা তথা ভারতবাসীর জন্য সুখবর । বঙ্গতনয়া সৌমিতা সাহার (Soumita Saha) কণ্ঠে গাওয়া 'বন্দেমাতরম' গানটি 'মিউজিক্যাল ভিডিয়ো' বিভাগে মনোনীত হয়েছে ব্রিটেনের বাকিংহ্যামশায়ারে আয়োজিত 'লিফট অফ ফিল্মমেকার সেশন' (Lift-Off Filmmaker Sessions) চলচ্চিত্র উৎসবে ।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে যেমন স্থান পায় দেশ বিদেশের কিছু উৎকৃষ্ট মানের সৃজনশীল চলচ্চিত্র, তেমনই সাঙ্গীতিক চলচ্চিত্র অর্থাৎ 'মিউজিক্যাল ফিল্ম' বিভাগে স্থান পায় কিছু অসাধারণ মিউজিক ভিডিয়ো । উল্লেখ্য, 'লিফট অফ ফিল্মমেকার সেশন' শীর্ষক চলচ্চিত্র উৎসবে 'মিউজিক্যাল ফিল্ম' শীর্ষক একটি আলাদা বিভাগ স্বীকৃতি পেয়ে আসছে বিগত কয়েক বছর ধরে ।
ইংল্যান্ডে পাইনউড স্টুডিয়ো দ্বারা আয়োজিত 'লিফট অফ ফিল্মমেকার সেশন' এমনই এক বিখ্যাত চলচ্চিত্র উৎসব । এর আগে কয়েকজন ভারতীয় পরিচালকের তৈরি সিনেমা নির্বাচিত হয়েছে এই চলচ্চিত্র উৎসবে । আর এ বছর মিউজিক ভিডিয়ো অর্থাৎ মিউজিক্যাল ফিল্ম বিভাগে নির্বাচিত হয়েছে বাংলার সঙ্গীতশিল্পী তথা চিত্রকর সৌমিতা সাহার মিউজিক ভিডিয়ো 'বন্দেমাতরম' গানটি ।
ব্রিটেনে চলচ্চিত্র উৎসবে নির্বাচিত সৌমিতার বন্দেমাতরম 2022 সালের 15 অগস্ট মেলা টিউনস্ থেকে প্রকাশ পায় এই গান ও তার মিউজিক ভিডিয়ো । বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা এবং বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সুরারোপিত এই গানটি সৌমিতার কণ্ঠে হাজির ৷ আর এর বাদ্যযন্ত্র ও সঙ্গীতায়োজন করেছেন অরিন্দম ভদ্র । ভিডিয়োটি ভারতের বিভিন্ন স্থানে সযত্নে তোলেন আগ্নিভ চট্টোপাধ্যায় । পেশায় স্থপতি সৌমিতার এই কর্মকাণ্ডে যোগ দিয়েছেন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার স্বামী আগ্নিভ চট্টোপাধ্যায় ।
আরও পড়ুন:'ঘুম থেকে উঠেই নাতু নাতু গানে নেচে জয় সেলিব্রেট করছি', রাজামৌলিকে লিখলেন কিং খান
ভিডিয়োর মূল আকর্ষণ শিল্পীর তুলিতে 'ভারত মাতা' অর্থাৎ দেশমাতৃকার ছবি ক্যানভাসে স্পষ্ট হয়ে ওঠা । এই ভিডিয়োটি যেমন দেশে অগণিত মানুষের প্রশংসা লাভ করেছে, তেমনই শিল্পীর তুলিতে ফুটে ওঠা ভারত মাতার ছবি প্রদর্শিত হয়েছে ভারতের সীমা ছাড়িয়ে সুদূর ভেনেজুয়েলাতে ।
শিল্পীর কথায়, "আমার কাছে 'লিফট অফ ফিল্মমেকার সেশন' চলচ্চিত্র উৎসবের জন্য নির্বাচিত হওয়া অপরিসীম আনন্দের বিষয় । তবে তার চেয়ে অনেক বেশি আনন্দের গোটা বিশ্ব যে চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নিচ্ছে, আমি সেই উৎসবে যোগ দিতে পেরেছি বন্দেমাতরমের হাত ধরে, বঙ্কিমচন্দ্রের হাত ধরে, রবি ঠাকুরের হাত ধরে, এর চেয়ে বেশি আমার কিছু চাওয়ার নেই । এটি অনেক বড় পাওনা ।"