হায়দরাবাদ, 4 অগস্ট: তিনি ছিলেন মজার মানুষ ৷ ছেলে অমিত কুমারের বিভিন্ন ইন্টারভিউ থেকেই জানা যায়, বাবার মধ্যে 'কিশোর বয়সের দুষ্টুমি' আজীবন রয়ে গিয়েছিল ৷ নইলে কেউ প্রযোজককে আলমারিতে ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ করে দিতে পারেন ! আবার সকাল সকাল ছেলেকে ঘুম থেকে তুলেই একখানা গাড়ি কিনে ফেলতে পারেন অন্য কোনও বাবা! তাঁর কণ্ঠের ম্যাজিকে আজও মোহিত বাঙালি ৷ তাঁর অভিনয় থেকে শুরু করে রঙিন ব্যক্তিগত জীবনের গল্প আজও মুখে মুখে ফেরে অনেকেরই ৷
তাঁর কিশোর মামার মজা করার স্বভাবের কথা বলেছিলেন বাপ্পি লাহিড়িও ৷ আরও বলেছিলেন, একবার এমনই এক মজার সূত্র ধরে চরম অস্বস্তিকর সত্যের সামনে গিয়ে দাঁড়াতে হয়েছিল বাপ্পিকে। তিনি জানান, শ্রীদেবী অভিনীত ছবি 'ওয়াক্ত কি আওয়াজ'-এর কাজ চলেছিল তখন ৷ স্টুডিয়োয় এলেন কিশোর কুমার ৷ স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে খুব হাসালেন সকলকে ৷ আর তারপর বেড়িয়ে যেতে যেতে তিনি নাকি বলেছিলেন, "যেদিন থাকব না দেখিস আমার কথা মনে পড়বে ৷" ঠিক তারপরই আসে তাঁর মৃত্যুর খবর ৷ সেদিনের সেই ঘটনা আজীবন ভুলতে পারেননি বাপ্পিদা ৷ কিশোর কুমারের কথা উঠলেই বাপ্পির এই ঘটনা মনে পড়ে যেত । কিন্তু কিশোর বেঁচে আছেন তাঁর গানেই ৷ একনজরে দেখে নেওয়া যায় কিশোরের সেরা গানের তালিকা।
জিন্দেগী এক সফর হ্যায় সুহানা: পর্দায় রাজেশ খান্না আর নেপথ্যে কিশোরের কণ্ঠ ৷ 1971 সালে 'আন্দাজ' ছবিতে ব্যবহৃত হয় এই গান ৷ শংকর জয়কিষাণের সুরে আর হসরত জয়পুরির কথা আজও এই গান একইরকম বিখ্যাত ৷
এক লড়কি ভিগি ভাগি সি:ছবির নাম 'চলতি কা নাম গাড়ি' । সালটা 1958 ৷ কিশোরের কণ্ঠে ফের একবার মেতে ওঠেন সংগীত প্রেমীরা ৷ এসডি বর্মনের সুরে এই গানের কথা লিখেছিলেন মজরু সুলতানপুরি ৷
তেরে বিনা জিন্দেগী সে কই:সালটা 1975 ৷ সুরকার পঞ্চমদার জন্য 'আঁধি' ছবিতে এই গানটি গাইলেন কিশোর ৷ এই গানে তাঁর সঙ্গে কণ্ঠ দিয়েছিলেন লতা মঙ্গেশকরও ৷ আর কথা লিখেছিলেন গুলজার ৷
ও মেরে দিলকে চ্যায়েন:মজরু সুলতানপুরির কথায় এবারও সুরের দায়িত্বে সেই পঞ্চমদা ৷ আর রাহুলদেবের সঙ্গে কিশোরের জুটি যে কী রকম জনপ্রিয় ছিল তা আর না বললেও বোধহয় চলে ৷