কলকাতা, 4 জানুয়ারি: রাহুলদেব বর্মণ, সুরের জগতে তিনি কিংবদন্তি ৷ বাবা শচিনদেব বর্মণের সুযোগ্য় উত্তরসূরী ৷ যদিও শচিন কর্তা সলিল চৌধুরীকে বলেছিলেন, "ও আমার পোলা, তোমার চেলা ৷" কিন্তু চেলা যাঁরই হন না কেন গানের জগতে আজও এই ওস্তাদ চিরস্মরণীয় হয়ে রয়ে গিয়েছেন ৷ 1994 সালের এই দিনেই সঙ্গীতপ্রেমীদের কাঁদিয়ে বিদায় নিয়েছিলেন সবার প্রিয় পঞ্চমদা ৷ তাঁর এই পঞ্চম নামটির পিছনেও রয়েছে ইতিহাস ৷ রাহুলদেবের জন্মের পর তাঁকে দেখতে এসেছিলেন অভিনেতা অশোক কুমার ৷ সেসময় তাঁকে কাঁদতে দেখে বলেছিলেন, "বা এতো বেশ পঞ্চম সুরে কাঁদছে ৷" সেই থেকেই রাহুলের ডাকনাম হয়ে যায় পঞ্চম ৷ আজও তাঁর গান সঙ্গীতপ্রেমীদের প্লেলিস্টের নিত্যসঙ্গী ৷ আসুন আজ তাঁর প্রয়াণদিবসে দেখে নেওয়া যাক এমনই কিছু গান ৷
ইয়ে দোস্তি হাম নেহি তোরেঙ্গে: সুরের অনুরাগীদের সঙ্গে রাহুলদেব বর্মণের 'দোস্তি' থেকে যাবে আজীবন ৷ এই গানে যেন সে বার্তাই দিয়েছিলেন সুরকার ৷ ছবির নাম 'শোলে' ৷ সালটা 1975 ৷ কণ্ঠে কিশোর কুমার-মান্না দে আর পর্দায় অমিতাভ বচ্চন এবং ধর্মেন্দ্র ৷ সুপারহিট এই গান আজও অনেকেই গুনগুন করে ওঠেন অজান্তেই ৷ গানটির কথা লিখেছিলেন আনন্দ বক্সী ৷
ইয়ে লড়কা হায় আল্লা: ঠিক দু'বছর পর আবার একটি অসামান্য হিট নিয়ে হাজির আরডি ৷ এবার কণ্ঠে মহম্মদ রফি এবং আশা ভোঁসলে ৷ কলমে মজরু সুলতান পুরী ৷ ছবির নাম 'হাম কিসিসে কম নেহি' ৷ ঋষি কাপুর এবং কাজল কিরণের অভিনীত ছবির এই গান পরেও বহুবার ব্যবহৃত হয়েছে নানা ভাবে ৷ আজও ইউটিউবে 26 লক্ষের বেশি মানুষ শুনেছেন এই গানটি ৷ জনপ্রিয়তাই বলে দেয় একসময় ঠিক কতখানি মন কেড়েছিলেন রাহুলদেব ৷
কেয়া হুয়া তেরা ওয়াদা: একই ছবির এই গানটিও লিখেছিলেন মজরু সুলতানপুরী ৷ আর তার ওপর রাহুলের অসামান্য সুর ৷ গানটির জন্য় 'বেস্ট প্লে ব্যাক সিঙ্গার' হিসাবে ফিল্মফেয়ার পুরস্কারও জিতে নেন মহম্মদ রফি ৷
ও মেরে দিলকে চ্যায়ান:ছবির নাম 'মেরে জীবন সাথী' ৷ পরিচালক রবি নাগআইচের এই ছবিতেও সুরকারের দায়িত্বে ছিলেন রাহুলদেব ৷ আর রাহুল-কিশোর জুটি মানেই তো সুপারহিট ৷ এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি ৷ 'ও মেরে দিলকে চ্যায়ান' গানেরও লেখক ছিলেন মজরু সুলতানপুরী ৷
মনে পড়ে রুবি রায়: এই একই সুরে একটি হিন্দি গানও তৈরি করেছিলেন রাহুল দেব বর্মণ ৷ গানটির হিন্দি ভার্সানও বিপুল জনপ্রিয়তা পায় কিশোর কুমারের কণ্ঠে ৷ কিন্তু বাংলায় ক্লাট গানের তালিকায় আজও অমর 'মনে পড়ে রুবি রায়' ৷ শচিন ভৌমিকের কথায় নিজের সুরে এই গানে কণ্ঠ দেন রাহুলদেব ৷