কলকাতা, 20 নভেম্বর: আমি পাই না ছুঁতে তোমায়, আমার একলা লাগে ভারী...টানা 20টা দিন হাসপাতালের বেডে অচেতন প্রেমিকার হাতটা ছুঁয়ে ছিলেন ৷ চোখের পাতা এক করেননি এক মুহূর্তের জন্যও ৷ আজ আর সে নেই ৷ সে আজ সবার ধরাছোঁয়ার বাইরে ৷ সব্যসাচী চৌধুরীর (Sabyasachi Chowdhury) 'রাত জাগা তারা' ঐন্দ্রিলা শর্মা আজ তারাদের দেশে ৷ তাই আজ বড় একলা সব্যসাচী (Sabyasachi-Aindrila Friendship)৷ এই একাকীত্বের অন্ধকারেই তিনি নিজেকে আরও গুটিয়ে নিলেন ৷ ঐন্দ্রিলা চিরঘুমে যেতেই ফেসবুক থেকে হারিয়ে গেলেন তাঁর প্রিয়তম ৷
সিনেমা, থিয়েটারের প্রেম-ভালোবাসার গল্পকে হার মানাবে বাস্তব এই প্রেমকাহিনি ৷ ঐন্দ্রিলা ও সব্যসাচীর গল্প রূপকথার মতো ৷ আজকের জেট যুগের ব্যস্ততায়, কেরিয়ার নিয়ে ইঁদুর দৌড়ের মাঝে এমন ভালোবাসা, এমন অনুভূতি বিরল ৷ দায়বদ্ধতা, নিয়মরক্ষা নয়, সব্যসাচী নতুন করে বন্ধুত্বের সংজ্ঞা মনে করিয়ে দিয়েছেন ৷ তাই বন্ধুর জীবন সংগ্রামের প্রতিটি মুহূর্তে তাঁর পাশে থাকলেও বন্ধুকে হারিয়ে আজ তাঁরও পায়ের তলার মাটি খসে পড়েছে ৷ গত শুক্রবারও যিনি মিরাকলের আশায় ছিলেন, সেই সব্যসাচীই যখন বুঝলেন সব শেষ, তখনই ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে তাঁর ফেসবুকের যাবতীয় পোস্ট মুছে দিলেন বামাক্ষ্যাপা অভিনেতা ৷ শুধু তাই নয়, ফেসবুক থেকে সরিয়ে নিলেন নিজেকেও ৷
ঝুমুর ধারাবাহিক থেকে এই বন্ধুত্বের সূচনা ৷ শ্যুটিং-এর ফাঁকেই আড্ডা, তারপর ফোন, টেক্সট ৷ এ ভাবে খুব অল্প সময়ের মধ্য়ে একে-অপরের খুব কাছাকাছি চলে এসেছিলেন ঐন্দ্রিলা ও সব্যসাচী ৷ তবে সম্পর্ক শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই নেমে আসে নানা ঘাত প্রতিঘাত ৷ কর্কট রোগ তাঁর শরীরকে ব্যতিব্যস্ত করে তুললেও বন্ধুর সাহচর্যে মানসিক শান্তি কখনও অধরা হয়নি, নিজেই এ কথা নানা সময়ে জানিয়েছেন ঐন্দ্রিলা ৷ কঠিন লড়াইয়ে কখনও তাঁর হাত ছাড়েননি সব্যসাচী ৷ তাঁদের বিভিন্ন পোস্টে বারবার ফুটে উঠেছে তাঁদের অনবদ্য পারস্পরিক বোঝাপড়া ও হাতে হাত রেখে সব যুদ্ধজয়ের অঙ্গীকারের ছবি ৷
আরও পড়ুন:Aindrila Sharma: জিয়নকাঠির জাদু ব্যর্থ করে অস্তাচলে ঐন্দ্রিলা, একনজরে জীবনযুদ্ধের কাহিনি