কলকাতা, 15 নভেম্বর: আজ থেকে প্রায় ঠিক দু'বছর আগে ভীষণ দু:স্বপ্নের একটি 15 নভেম্বর কাটিয়েছিল আপামর বাংলা ৷ এই দিনেই ইহ-জগতকে চিরদিনের মতো বিদায় জানিয়েছিলেন কিংবদন্তি নায়ক সৌমিত্র চট্টোপাধ্য়ায় (Soumitra Chatterjee )৷ হ্য়াঁ নায়ক, কারণ পার্শ্ব চরিত্র হয়ে মঞ্চে দাঁড়িয়েও প্রধান চরিত্রের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ তিনি হয়ে উঠেছেন তাঁর অভিনয় গুণে ৷ তা সে উদয়ন পণ্ডিতই হোক বা কর্মাশিয়াল ছবির ছকে বাধা খলনায়ক চরিত্রই হোক ৷ সৌমিত্র অনন্য তাঁর নিজস্ব প্রতিভার গুণে ৷ এই কিংবদন্তির জন্ম নদিয়ার কৃষ্ণনগরে ৷ সালটা ছিল 1935 ৷ তাঁর বাবা ছিলেন আইনজীবী ৷ সৌমিত্রবাবুর পড়াশোনা শুরু কৃষ্ণনগরের সেন্ট জন্স বিদ্যালয়ে ৷ এরপর হাওড়া জিলা স্কুল হয়ে কলকাতা সিটি কলেজ থেকে পাশ করেন তিনি (Remembering Soumitra Chatterjee )৷
তাঁর কর্মজীবন অবশ্য় শুরু হয় কিছুটা অন্যভাবেই ৷ আকাশবাণীর ঘোষক হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন তিনি । অভিনয়ের খিদেটা অবশ্য় মনের মধ্য়ে ছিল আগে থেকেই ৷ কিন্তু কার্তিক বসুর 'নীলাচলে মহাপ্রভু' ছবিতে অডিশন দিয়েও সুযোগ পাননি ৷ কিন্তু তখন কি কেউ ভাবতেও পেরেছিল সেই সৌমিত্রই হবেন সত্য়জিৎ রায়ের কালজয়ী সব ছবির নায়ক ৷ কার্যত তাঁর হাত ধরেই উত্তমের পাশাপাশি বাঙালি পেল আরেক নায়ককে ৷ যিনি সংস্কৃতি প্রিয় বাঙালির অবিসংবাদিত আইকন হয়ে উঠলেন খুব সহজেই ৷ তাঁর কবিতা, সংগীত প্রেম থেকে শুরু করে প্রত্যেকটি অঙ্গভঙ্গি নকল করতে শুরু করলেন তাঁর অনুরাগীরা ৷ সত্য়জিৎ রায়ের 'অপুর সংসার'-এর অপু হিসাবে ছবির জগতে পা রাখা সৌমিত্র বাঙালির মনন ও আবেগে গড়লেন স্থায়ী সাম্রাজ্য ৷