হায়দরাবাদ, 17 নভেম্বর:সাইবার দুনিয়ার বাড়বাড়ন্তে রাশ টানতে বদ্ধপরিকর কেন্দ্রীয় সরকার ৷ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে রশ্মিকার ডিপফেক ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়তেই নড়েচড়ে বসেছে সাইবার দুর্নীতি দমন শাখা ৷ সূত্রের খবর, ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, এক্স (টুইটার), ইউটিউব-এর উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের জুরুরি বৈঠকে ডেকে পাঠানো হয়েছে ৷ পাশাপাশি, ডিপফেক ইস্যুতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, সেই বিষয়েই কথা বলার জন্য ডাকা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে ৷
জানা গিয়েছে, তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রনালয়-সহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় এই বিষয়টি নিয়ে গভীরে খতিয়ে দেখবেন। রাজ্যে নির্বাচন ও আগামী বছর আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে ডিপফেকের ক্রমবর্ধমান প্রভাব ভাবিয়ে তুলেছে প্রশাসনকে ৷ বিষয়টি সকলের নজরে আসে যখন দক্ষিণী অভিনেত্রী রশ্মিকা মন্দানার একটি আপত্তিজনক অশ্লীল ভিডিয়ো আসে প্রকাশ্যে ৷ সোশাল প্ল্যাটফর্মে সেই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ে ঝড়ের গতিতে ৷
সূত্রের মতে, সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলি ইতিমধ্যেই সাইবার দুর্নীতি দমন শাখাকে এই বিষয়টি নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ৷ পাশাপাশি আইটি আইন অনুসারে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে ৷ মূলত, আইটি আইন 2000 অনুসারে, 66D ধারা অনুযায়ী কম্পিউটার ব্যবহারের মাধ্যমে কোনও রকম দুর্নীতির সঙ্গে যোগ থাকলে দোষী ব্যক্তিকে তিন বছরের কারাদণ্ড এবং 1 লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করার নিদান রয়েছে ৷ এই পরিপ্রেক্ষিতে সাধারণ মানুষ যাতে সাইবার দুর্নীতি জড়িয়ে না পড়েন সেই দিক থেকেও সচেতনতার কথা বলা হয়েছে ৷
মূলত কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা অর্থাৎ এআই প্রয়োগের মধ্য দিয়ে ডিপফেক টেকনোলজি দিয়ে বিভিন্ন নকল ভিডিয়ো ও ছবি নিয়ে সমালোচনায় সরব হয়েছেন সকলেই ৷ অভিনেত্রী রশ্মিকার নকল ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই সোচ্চার হন অমিতাভ বচ্চন, নাগা চৈতন্য থেকে বিজয় দেবরেকোন্ডা-সহ একাধিক তারকা ৷ মনে করা হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের আইটি সেলের পদক্ষেপে ডিকফেক টেকনোলজির বাড়বাড়ন্ত নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে ৷