কলকাতা, 9 জানুয়ারি: প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পী রশিদ খান ৷ মঙ্গলবার বিকেল 3টে 45 মিনিটে প্রয়াত হলেন তিনি ৷ এদিন পিয়ারলেস হাসপাতালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মেয়র ফিরহাদ হাকিম পৌঁছন ৷ তারপরেই সাংবাদিক সামনে তাঁর প্রয়াণের খবর প্রকাশ করা হয় ৷
পিয়ারলেস হাসাপাতালেই সন্ধ্যে 6টা পর্যন্ত রাখা হবে উস্তাদ রশিদ খানের দেহ ৷ বুধবার রবীন্দ্র সদনে বেলা 1টায় নিয়ে আসা হবে সঙ্গীতশিল্পীর মরদেহ ৷ সেখানে তাঁকে দেওয়া হবে গান স্যালুট ৷ এরপর মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, ইন্দ্রনীল সেন মরদেহ নিয়ে যাবেন বাড়িতে ৷ সেখানে বেশ কিছু নিয়ম পালন করার পর টালিগঞ্জ কবরস্থানে সম্পন্ন হবে শেষকৃত্য ৷
এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, সঙ্গীত দুনিয়ায় অপূরণীয় এই ক্ষতি ৷ ভাবতে পারছি না রশিদ নেই ৷ আমার ওর মুখটা খুব মনে পরছে ৷ ওকে বেশি বেশি করে গান করতে বলতাম ৷ ছেলেকে খুব ভালো করে গান শিখিয়েছেন ৷ আমি পরিবারকে জানিয়েছি, অভিভাবক হিসাবে সবসময় তাঁদের পাশে থাকব ৷ মানবিক মানুষ হিসাবে তাঁকে হারানো মানে নিজের কোনও প্রিয়জনকে হারালাম ৷ কাল রাতেও নাকি কথা বলেছে ৷ ইনফেকশন বেড়ে যাওয়ায় এই অবস্থা ৷ চেহারা একদম ভেঙে গিয়েছে ৷ ক্যানসারের ট্রিটমেন্ট চলছিল দু-তিনবছর ধরেই ৷
এদিন চিকিৎসক বলেন, " 21 নভেম্বর ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন রশিদ খান ৷ 22 নভেম্বর আমাদের হাসপাতালে ভর্তি হন৷ মাথার মধ্যে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল ৷ পরে নিউরোসার্জনদের নজরদারিতে ছিলেন তিনি ৷ কনজারভেটিভ চিকিৎসা করা হয় ৷ কিন্তু সবরকম চেষ্টা করেও বাঁছানো গেল না শিল্পীকে ৷ আজ ভোর রাতেই ভেন্টিলেট করতে হয় শিল্পীকে ৷ বিকেল 3.45 মিনিট নাগাদ আমরা হারাই প্রিয় শিল্পীকে ৷"
মঙ্গলবারই জানা গিয়েছিল চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন না প্রখ্যাত এই শিল্পী ৷ ক্রমশ অবস্থার অবনতি হচ্ছিল ৷ ভেন্টিলেশনে রাখার পাশাপাশি তাঁকে রাইলস টিউবে খাওয়ানো হচ্ছিল বলেও জানা যায় ৷ চিকিৎসক সুদীপ্ত মিত্রের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা চলছিল তাঁর। এছাড়াও মেডিসিন ও ক্যান্সার বিভাগের একটি চিকিৎসকের দল তাঁকে সর্বক্ষণ পর্যবেক্ষণে রেখেছিলেন ৷