কলকাতা, 27 জুন:'মনে পড়ে রুবি রায় কবিতায় তোমাকে...', এ গানের পংক্তির পর সঙ্গীতপ্রেমী বাঙালিকে আর বোধহয় আলাদা করে বলে দেওয়ার দরকার নেই কোন কিংবদন্তিকে নিয়ে আজ কথা বলতে চলেছি আমরা ৷ হ্যাঁ কথা বলতে চলেছি রাহুল দেব বর্মণকে নিয়ে ৷ প্রবাদপ্রতীম সেই সুরকার তথা শিল্পী যিনি বেশি পরিচিত পঞ্চমদা নামেই ৷ বাবা শচীন দেব বর্মণ নিজেও ছিলেন কিংবদন্তি ৷ 'উঁহা কন হ্যায় তেরা' থেকে শুরু করে 'শোন গো দখিন হাওয়া প্রেম করেছি আমি'র মতো একাধিক গান তিনি উপহার দিয়েছিলেন তিনি ৷ যে পঞ্চম একসময় হয়ে উঠবেন বলিউডের প্রাণ একসময় নাকি সেই ছেলের ভবিষ্যত নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন তিনিও ৷ বন্ধু সলিল চৌধুরীকে নাকি তিনি বলেওছিলেন সেকথা ৷
রাহুল পঞ্চম নামের পিছনেও রয়েছে এক ইতিহাস ৷ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের তাঁর জন্মের পর বন্ধু শচীনের বাড়িতে তাঁকে অভিনন্দন জানাতে এসেছিলেন অশোক কুমার ৷ আরডি বর্মণ নাকি তখন উচ্চ স্বরে কাঁদছেন ৷ সেই কান্না শুনে মজা করে নাকি অভিনেতা অশোক কুমার বলেছিলেন, "এ তো দেখি বেশ পঞ্চম সুরে কাঁদছে ৷" সেখান থেকেই নাকি রাহুলের ডাকনাম হয়ে যায় পঞ্চম ৷
এবার আসা যাক সলিল চৌধুরীর প্রসঙ্গে ৷ তাঁর একটি লেখায় এই ঘটনার উল্লেখ করেছিলেন সুরকার দেবজ্যোতি মিশ্র ৷ দেবজ্যোতি জানান, রাহুল দেব বর্মণের 'দম মারো দম' গানটি মুক্তি পাওয়ার পর তিনি ঠিক কী করতে চাইছেন তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন শচীন কত্তা ৷ তাঁর ঘরণার থেকে ছেলে যে অনেকটাই আলাদা একথা বুঝতে দেরি হয়নি তাঁর ৷ আর সেকথাই সলিলকে বলেছিলেন তিনি ৷