হায়দরাবাদ, 20 ডিসেম্বর: প্রভাস এবং প্রশান্ত নীল একসঙ্গে কাজ করবেন না বলে একরকম ঠিকই করে ফেলেছিলেন ৷ তাঁদের আসন্ন ছবি সালারের প্রযোজকের হস্তক্ষেপেই আবারও জুটি বাঁধেন তাঁরা ৷ বাহুবলীর স্মরণীয় সাফল্যের পরে তাঁর প্যান-ইন্ডিয়া সুপারস্টারডমের জন্য পরিচিত প্রভাস ৷ আর প্রশান্ত ব্লকবাস্টার কেজিএফ: চ্যাপ্টার 1 ও 2-এ তাঁর পরিচালনার জন্য প্রশংসিত ৷ কাজেই এমন হাই-প্রোফাইল দুই জনের জুটি বেঁধে কাজ করাটা প্রত্যাশার অতীত ছিল । প্রভাস সম্প্রতি প্রকাশ করেছেন যে, তিনি প্রায় প্রত্যাখ্যান করে দিয়েছিলেন সালারে অভিনয়ের অফার ৷
সালার মুক্তির আগে ছবির নির্মাতারা প্রভাস, পৃথ্বীরাজ সুকুমারন, প্রশান্ত নীল এবং এসএস রাজামৌলীর মধ্যে এক ঘণ্টার একটি কথোপকথন উন্মোচন করেছেন । এই আলোচনায় রাজামৌলী প্রভাসকে জিজ্ঞেস করেন যে, তিনি প্রশান্তের মতো একজন বিশিষ্ট পরিচালকের সঙ্গে কাজ করে কতটা সন্তুষ্ট হয়েছেন ৷
প্রভাসের কথায়, "প্রশান্ত একটি হট প্রপার্টি ছিল ৷" বাহুবলী স্টার যেখানেই গিয়েছেন, সেখানেই কেজিএফের প্রশংসা ছাড়া আর কিছুই শোনা যায়নি তাঁর মুখে ৷ ফিল্মটি দেখে তিনি বুঝেছিলেন যে, কাজের প্রতি একটা লোভ কাজ করে প্রশান্তের ৷ সালারের শুরুটা বর্ণনা করতে গিয়ে প্রভাস বলেন যে, তাঁর সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছেপ্রকাশ করে তাঁকে ফোন করেছিলেন প্রশান্ত ৷ তাঁরা দেখা করলেও দু'জনের কেউই একসঙ্গে কাজ করার বিষয়টি সে দিন উত্থাপন করেননি ৷
প্রভাসের কথায়, প্রশান্ত ভদ্রলোক, যিনি তাঁর অভিনেতাদের সমাদর করেন ৷ কোনও প্রজেক্টে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়ার আগে ব্যক্তিগতভাবে সেই অভিনেতার সঙ্গে বন্ধন তৈরি করাটা তাঁর জন্য গুরুত্বপূর্ণ । তাঁদের প্রথম সাক্ষাতের পরে দুজনের কেউই একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে আলোচনা করেননি ৷ প্রভাস জানান, "সৌভাগ্যবশত প্রযোজক আমাদের সাহায্য করেছিলেন । আমরা একে অপরকে পছন্দ করেছি ৷ কিন্তু প্রথম সাক্ষাতের পরে ফোন করিনি । হঠাৎ একদিন প্রমোদ (প্রভাসের খুড়তুতো ভাই) ফোন পান যে, প্রশান্ত আমার একটি চলচ্চিত্র পরিচালনা করতে চান ।"