হায়দরাবাদ, 22 মার্চ: ঠোঁট কাটা, স্পষ্টবক্তা, প্রতিবাদী ৷ তাঁর নামের পাশে এই সবকটা বিশেষণ ভীষণভাবে প্রযোজ্য ৷ টলিউডের অন্যতম অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র (Sreelekha Mitra) মুখ খোলা মানে কিছু কঠিন সত্য হঠাৎ করে সামনে এসে যাওয়া ৷ তবে কিন্তু তিনি নিজে ভীষণ চাপলেস থাকেন ৷ কারণ দিনরাত দরজায় ইডি বা সিবিআই কড়া নাড়ছে না ! ফলে নিজের সুখীগৃহকোণে দেখা আলোতে আজও তিনি স্নিগ্ধ (fearless Srilekha Mitra) ৷ মনটা এখনও সেই স্কুল লাইফের ছোট্ট মেয়েটার মতো ৷
সম্প্রতি টলিউডে নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Case) টাকা নয়ছয় হয়েছে, এমন অভিযোগে উত্তাল গোটা রাজ্য ৷ কালো টাকা সাদা করতেই নাকি শান্তনু-কুন্তল টাকা ঢেলেছিলেন বলিউডে ৷ তৈরি করেছিলেন প্রযোজনা সংস্থা ৷ বানিয়েছিলেন শর্ট ফিল্ম যা আবার কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবেও দেখানো হয়েছিল ৷ নিয়োগ দুর্নীতির জাল যত গুটিয়ে আনছেন ইডি-সিবিআই আধিকারিকরা ততই সামনে আসছে টলিউডের বেশ কিছু পরিচিত নাম ৷ বর্তমান সময়ের সেই অস্থির পরিস্থিতিকে সোশাল মাধ্যমে নিজের অভিনব প্রতিভার মাধ্যমে তুলে ধরেছেন শ্রীলেখা মিত্র ৷
সোমবার সোশাল মাধ্যমে নিজের মিষ্টি একটি ছবি শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী ৷ ক্যাপশনে লিখেছেন, "হ্যাঁ, মন থেকে আমি এখনও স্কুলগার্ল ৷ একটা সময়ে নিজের মেয়ের থেকেও নিজেকে ছোট মনে হয় ৷ আর আমি কিন্তু বয়স লুকাই না ৷ চাপলেস জীবন, নো ইডি, নো সিবিআই, নো অন্যের পয়সায় ফুটানি ৷"
এই প্রসঙ্গেই অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র-র সঙ্গে ইটিভি ভারত-এর তরফ থেকে ফোনে যোগাযোগ করা হয় ৷ তাঁকে টলিউডে দুর্নীতি প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, "শ্বেতা-ফেতা চামচিকে, চিল রয়েছে ওপরে ৷ আমি তো বললে খারাপ, ব্রাত্য ইন্ডাষ্ট্রি থেকে ৷ একটা সময় আমার সম্পর্কে অনেকে বড় বড় লেকচার বাজি মেরেছিল ৷ যারা পত্রকারদের ধরে, ডিরেক্টরদের ধরিয়ে আমাকে মিথ্যাবাদী প্রমাণিত করার চেষ্টা করেছিল তারা এখন কথা বলবে ৷ আমি এখন চুপ করে মজা দেখব তো !"
অভিনেত্রী আরও বলেন, "তবে এগুলো চুনোপুঁটি যেগুলো ধরা পড়ছে ৷ কেঁচো খুড়তে কেউটের বদলে যে কোথায় অজগর ধরা রয়েছে, সেটা তো আমরা জানি না ৷ কেউটের মাথায় হয়তো কোনও বড় অজগরের ছত্রছায়া রয়েছে ৷ এটা শুধু টলিউডে নয়, রাজনীতিতেও গুণ্ডাদের টাকা খাটে ৷ এখন টলিউডের নাম আসছে ৷ টলিউড বয়কট বললে তো হবে না ৷
আরও পড়ুন : 'অভিনেতা কেকে রায়না দেখে অজিত হওয়ার ইচ্ছে !' ব্যোমকেশের নতুন 'অজিত' ভাস্বরের প্রতিক্রিয়া
তিনি বলেন, "এটাও আমি বারবার কর বলছি, প্রোডিউসারের ব্যাকগ্রাউন্ড চেক কিন্তু শিল্পীদের দায়িত্ব নয় ৷ আসলে আমরা পরিচালকের সঙ্গে কথা বলি ৷ যে সমস্ত হিরোইন প্রোডিউসার ধরে নিয়ে আসছে, তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত ৷" প্রিয়াঙ্কা সরকার বা বনি সেনগুপ্ত-র প্রসঙ্গ টানলে অভিনেত্রী শ্রীলেখা জানান, প্রিয়াঙ্কার ব্যাপারে আমি একদম জানি না ৷ আমি বলত পারব না ৷ ধরা যাক শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও অনুষ্ঠানে গেলে তাতে কিন্তু প্রিয়াঙ্কা দোষী সাব্যস্ত হয় না ৷ সে তো টাকা পেয়েছে, আমরা যেটাকে খেপ বলি ৷ সেখানে কখনও ক্যাশ টাকার লেনদেন হয় আবার কখনো ব্যাঙ্কে পাঠিয়ে দেয় টাকা ৷ কিন্তু আসল সেই লোকটা কী, সেটা তো আমরা জানি না ৷ এত আমিও ফাঁসতে পারতাম ৷ তাই হাসপাতালে বিল মেটানো বা ফ্ল্যাট কেনার বিষয়টা আমি জানি না ৷ তবে গাড়িটা প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে ৷