কলকাতা, 9 ডিসেম্বর: টেলিভিশনের পর এবার ওয়েব সিরিজে 'মেয়েবেলা'র মৌ ও নির্ঝর জুটি ৷ ক্লিক ওটিটি প্ল্যাটফর্মে আসছে নতুন ওয়েব সিরিজ 'রাজা রাণী রোমিও'। 'অলক্ষ্মীজ ইন গোয়া'র পরিচালক জয়দীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নতুন ওয়েব সিরিজ এটি। মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন অর্পণ ঘোষাল এবং স্বীকৃতি মজুমদার। ওয়েবে প্রথমবার দেখা যাবে অভিনেতা জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
চিত্রনাট্য ও পরিচালনা জয়দীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রযোজনায় ফিল্মস অ্যান্ড ফ্রেমস। পরিচালক বলেন, "এই গল্পটা মাথায় ছিল বিগত ছয় বছর ধরে, যদিও চিত্রনাট্য চূড়ান্ত করতে বেশ খানিকটা সময় লেগেছে। বাংলার বটতলার সাহিত্য থেকে নব্বইয়ের বলিউড থ্রিলার, যাবতীয় 'পাল্প' শিল্পই হল আমার এই সিরিজের অনুপ্রেরণা। এখানে চরিত্ররা জটিল, বহুমাত্রিক এবং অবশ্যই ধূসর ৷ পাশাপাশি অনিরের চিত্রগ্রহণ এবং প্রাঞ্জল দাসের সঙ্গীত সিরিজটিতে অন্য মাত্রা দিয়েছে।"
অভিনেত্রী স্বীকৃতি জানিয়েছেন, "রাজা রাণী রোমিওতে আমার প্রথমেই যেটা দারুণ লেগেছিল তা হল গল্পের গভীরতা এবং অবশ্যই এর চিত্রনাট্য ৷ আমার চরিত্রেরও একটা অন্ধকার দিক আছে যা একজন অভিনেতার কাছে যতটা চ্যালেঞ্জিং ততটাই আকর্ষণীয়। অর্পণের মতো সহ অভিনেতা থাকায় আমার একটু বাড়তি সুবিধা হয়েছে। ওর সঙ্গে আমার এটা দ্বিতীয় কাজ। দর্শক আমাদের জুটিকে বারবার একসঙ্গে দেখতে চেয়েছিলেন ৷ মনে হয় এই সিরিজটা দেখে দর্শকেরা খুশি হবেন ৷"
অভিনেতা অর্পণ ঘোষাল বলেন, "রাজা রাণী রোমিও'র দৌলতে ক্লিক ও নির্দেশক জয়দীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এটা আমার প্রথম কাজ। জয়দীপদা শুরু থেকেই আমাদের সবাইকে খুব অনায়াসে নিজের ভাবনার সঙ্গে জড়িয়ে নিয়েছিলেন। আর আমার পুরোনো সহ-অভিনেত্রী স্বীকৃতি থাকায় আমি তো একটু বেশিই আত্মবিশ্বাসী ছিলাম ৷ তবে এই শুটিং চলাকালীন একটা সময় আমার নিজেরই মনে হচ্ছিল শুট সম্ভব না। তার মূল কারণ বৃষ্টি। আমরা শিডিউল কমপ্লিট করতে পেরেছি ক্যামেরার পিছনের মানুষদের অক্লান্ত পরিশ্রমের জন্য।"
চিত্রনাট্য এগিয়েছে ফুলবাড়ি ধাবায় ওয়েটারের কাজ করা ইমরানকে ঘিরে ৷ ইমরান মণ্ডল (অর্পণ ঘোষাল) বেশ কিছুদিন ধরেই নাম পালটে মিঠুন দাস নামে ফুলবাড়ি অঞ্চলে থাকা শুরু করে। খুব কম বয়সে একটা ঘটনায় পুলিশ কেসে ফেঁসে যাওয়ায় বর্ধমানে নিজের গ্রাম থেকে পালাতে হয় ইমরানকে। এরপর থেকে সারাজীবন শুধু পালিয়েই বেড়াচ্ছে সে। কিন্তু ঠিক যখন তার মনে হয় যে তার জীবনের অন্ধকার অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি ঘটেছে তখনই ধাবায় এক গ্রাহকের ফেলে যাওয়া ফোন তাঁর জীবন ওলট-পালট করে দেয়। এক সুন্দরী মহিলা (স্বীকৃতি মজুমদার) ফেলে যাওয়া ফোনটা নিতে আসেন। আর প্রথম দেখাতেই এক অদ্ভুত আকর্ষণ আঁকড়ে ধরে ইমরানকে।