হায়দরাবাদ, 14 ডিসেম্বর: আজকের দিনেই পরিচালক করণ জোহর পরিচয় করিয়েছিলেন রায়চন্দ পরিবারের সঙ্গে ৷ যশবর্ধন রায়চন্দ, নন্দিনী রায়চন্দ, রাহুল ও রোহান রায়চন্দ পরিবারের ঐতিহ্য-গৌরব চোখ ধাঁধানোর মতোই ৷ অন্যদিকে, চাঁদনি চকের অঞ্জলি শর্মা ও পূজাও নিজেদের জগতে ছিলেন মত্ত ৷ সবকিছুই ঠিক ঠাক চলত যদি না রাহুল-অঞ্জলি কাছাকাছি আসত ৷ যদি না রায়চন্দ পরিবারের ঐতিহ্য ও পরম্পরা নিয়ে প্রশ্ন উঠত ৷
পরিবারের প্রতি ভালোবাসা, শ্রদ্ধা, দায়িত্ব-কর্তব্য সবকিছুর মিশেল যেন একটা ছবিতে ঢেলে দিয়েছিলেন পরিচালক করণ জোহর ৷ দেখতে দেখতে 22 টা কাটিয়ে দিল 'কভি খুশি কভি গম' ৷ 2001 সালে মুক্তি পাওয়া এই ছবিকে হৃদয় থেকে ভালোবাসা দিয়েছে দর্শক ৷ টেলিভিশনের পর্দায় আজও যে ছবি কখনও হাসায় আবার কখনও কাঁদায়, সেই ছবিকে ঘিরে নস্টালজিক অভিনেতা-অভিনেত্রীরাও ৷
সোশাল মিডিয়ায় পরিচালক করণ লিখেছেন, "প্রতি বছর আমি এটা মনে করিয়ে দিই যে নিজের পরিবাররকে ভালোবাসো ৷ আর সেই স্পিরিট 22 বছর পরেও আমার দর্শক ধরে রেখেছে ৷ মন থেকে আমি ধন্যবাদ দিতে চাই অমিতা বচ্চন স্যারকে, জয়া বচ্চন ম্যামকে, শাহরুখ ভাই, কাজল ডুগ্গু (হৃত্বিক রোশন) ও বেবো (করীনা কাপুর খান) ছাড়াও ছবির সঙ্গে জড়িত প্রত্যেককে যাঁরা এই জার্নিকে স্বমরনীয় করে রেখেছে আজও ৷"
সোশাল মিডিয়ায় ভিডিয়ো পোস্ট করে কাজল লিখেছেন, " সারাজীবন মনে রাখার মতো আরও একটা স্মৃতি ৷ যশ(চোপড়া) আঙ্কল এই ছবির শুটিংয়ের জন্য় ফিল্মস্তান স্টুডিয়োতে পাকাপাকিভাবে মেকআপ রুম সংস্কার করে বানিয়েছিলেন ৷ কারণ এতজন তারকাদের জন্য একসঙ্গে একাধিক ভ্যানিটি ভ্যান আনা সম্ভব ছিল না ৷ এই ছবির শুটিং সেটে অতিরিক্ত গরমে করণ জোহর অজ্ঞান হয়ে পড়ে গিয়েছিলেন ডিহাইড্রেশনের জন্য ৷"
কাজল আরও বলেন, "এটা অভিনেতা আরিয়ানের সিনে পর্দায় ডেবিউ ছিল (শাহরুখের ছোটবেলার চরিত্রে দেখা গিয়েছিল তাঁর ছেলে আরিয়ানকে), আর আমার মনে হয় এটা ফার্স্ট কামব্যাক ছিল ৷ আর এটাই প্রথমবার ও শেষবার ছিল আমি যখন কোনও পিরামিডের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলাম ৷ তাই, এই ছবি জীবনের ক্ষেত্রে ও সিনেমার ক্ষেত্রে প্রতিটা দিন, প্রতিটা মুহূর্ত বড় ভূমিকা রেখেছে ৷"