কলকাতা, 8 সেপ্টেম্বর:রিলে রেসে মশালটা একসময় সামনের জনের হাতে তুলে দেওয়াটাই রীতি ৷ কারণ খেলোয়াড়ের থেকেও এখানে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ খেলা ৷ ঠিক যেমন বাংলা সিনেমার ক্ষেত্রে বারবার এই ঘটনাটি ঘটেছে ফেলুদা চরিত্রটিকে কেন্দ্র করে ৷ ফেলুদা চরিত্রে প্রথম পরিচালক সত্য়জিৎ রায় বেছে নিয়েছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে ৷ দু'টি খুব সফল ছবিও উপহারও দিয়েছিল এই জুটি ৷ কিন্তু এরপর পর্দার জটায়ু সন্তোষ দত্ত প্রয়াত হন ৷ মানিকবাবুও সিদ্ধান্ত নেন তিনি আর ফেলুদাকে নিয়ে ছবি তৈরি করবেন না ৷ সেই ব্যাটনটি হাতে তুলে নেন সত্যজিৎ পুত্র সন্দীপ রায় ৷ বাবার গল্প নিয়ে কাজ শুরুর জন্য তিনি বেছে নেন সব্যসাচী চক্রবর্তীকে ৷ তিনিই হয়ে ওঠেন নতুন ফেলুদা ৷ আর এবার সেই মশাল তুলে দেওয়া হয়েছে ইন্দ্রনীল সেনগুপ্তর হাতে ৷ তিনিই এখন সন্দীপের নতুন ফেলু মিত্তির ৷ কিন্তু জানেন কি জন্মদিন মিলিয়ে দিয়েছে দুই প্রজন্মের এই দুই ফেলুদাকে!
হ্যাঁ সন্দীপ রায়ের দুই ফেলুদাই আজ আরও একটি বসন্ত কাটিয়ে ফেললেন ৷ প্রথম পর্বে টেলিভিশনের জন্যই ফেলুদা হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছিল সব্যসাচী চক্রবর্তীকে ৷ সব্যসাচী অর্থাৎ সবার প্রিয় বেনুদা নিজেই একবার জানিয়েছিলেন, ফেলুদা তো দূরস্ত ক্যামেরার সামনে কাজের ইচ্ছা তাঁর কস্মিনকালেও ছিল না ৷ তিনি কাজ করতে চেয়েছিলেন ক্যামেরার পিছনেই ৷
কিন্তু পিসোমশাই জোছন দস্তিদারের হাত ধরেই তাঁর অভিনয়ে হাতে খড়ি ৷ তারপর থেকে সেই যাত্রা কালে কালে পেরিয়েছে এক দীর্ঘ পথ ৷ তিনি হয়ে উঠেছেন বাঙালির প্রিয় ফেলুদাদের অন্যতম ৷ তা সে 'কৈলাসে কেলেঙ্কারি' হোক বা 'বোম্বাইয়ের বোম্বেটে' ৷ ফেলুদা হিসাবে বাঙালির মনে এক চিরস্থায়ী আসন তৈরি হয়ে গিয়েছে সব্যসাচীর ৷