কলকাতা, 17 মে : বিতর্কের সূত্রপাত একটি প্রথমসারির সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবরের উপরে ভিত্তি করে । 'ইস্টার্ন ইন্ডিয়া মোশন পিকচার ডিরেক্টরস অ্যাসোসিয়েশন'-এর প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক বিমল দের কাছ থেকে একপেশে খবর সংগ্রহ করে প্রতিবেদনটি লেখা হয়েছে বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট সংগঠনের । বিমল দের বয়ান অনুযায়ী, "আমি এখনও আইনত সেক্রেটারি ৷ কিন্তু ফেডারেশন পেশির জোর বা ক্ষমতা দেখিয়ে একজনকে সেক্রেটারি পদে বসিয়েছে । আমার মামলা আদালতে চলছে ।"
তিনি ছাড়াও ফেডারেশনকে ঘিরে নানা অভিযোগে সরব হয়েছেন আরও অনেকে । খবর প্রকাশিত হওয়া মাত্র দ্রুত এ বিষয়ে কথা বলার জন্য সাংবাদিক সম্মেলনের ডাক দেয় 'ইস্টার্ন ইন্ডিয়া মোশন পিকচার ডিরেক্টরস অ্যাসোসিয়েশন' (EIMPDA Press Conference on Bimal Dey) । এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে 'ইস্টার্ন ইন্ডিয়া মোশন পিকচার ডিরেক্টরস অ্যাসোসিয়েশন'-এর তরফে জানানো হয়, "সংবাদটি দু'পক্ষের কথা শুনে করা উচিত ছিল ৷ এটি অত্যন্ত একতরফা একটি সংবাদ । এই ব্যাপারে আরেকটু দায়িত্বশীল হওয়া উচিত ছিল ।"
একতরফা খবর মুখ বুজে মেনে নিতে নারাজ 'ইস্টার্ন ইন্ডিয়া মোশন পিকচার ডিরেক্টরস অ্যাসোসিয়েশন' । তাই সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে সংস্থা জানায়, "সংগঠন থেকে বহিষ্কৃত প্রাক্তন সম্পাদক যে বিবৃতি দিয়েছেন তার জন্য তাঁকে ধিক্কার জানাচ্ছি । 50 বছরের ঐতিহ্যবাহী এই সংগঠনকে নানারকম বে-আইনি কাজ দ্বারা কলুষিত করেছেন । নিজের মামলার স্বার্থে সংগঠনের টাকা নষ্ট করেছেন ।"
এদিন আরও জানা যায় যে বিমলবাবু কুড়ি বছর তো নয়ই, দশ বছরও পদে বহাল ছিলেন না । কেননা তাঁর নানাবিধ কুকর্মের জন্য তাঁকে 2020 সালে 20 ডিসেম্বরই বহিষ্কার করে সংগঠন । বিমল দের দেওয়া বিবৃতি সর্বতোভাবে মিথ্যা বলে দাবি সংগঠনের । আদালতে এখনও তাঁর অভিযোগ এখনও সত্য প্রমাণিত হয়নি । তার আগে তিনি কীভাবে বিবৃতি দেন কোনও সংবাদ মাধ্যমকে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে সংগঠন । একাধিকবার ফেডারেশন এবং সরকারের বিরুদ্ধাচরণ করেছেন বলেও অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে ।